বাস উল্টে দুর্ঘটনা ঘটল উত্তরাখণ্ডে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাস দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। বাসের ভিতরে এখনও কিছু যাত্রী আটকে রয়েছেন। তাদের বের করে আনার চেষ্টা চলছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বাসটিতে ৪০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। তিনি নিহতদের পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। ঠিক কী ঘটেছিল? সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর তরফে জানা যাচ্ছে, নৈনিতাল জেলার অন্তর্গত রামনগরে সোমবার সকালে বাসটি খাদে পড়ে যায়। সেই অবস্থার একটি ভিডিও করা হয়েছে।
সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পাহারি খরস্রোতা নদীর ধারে এ্টি বাস উল্টে পড়ে রয়েছে। বাসের অধিকাংশ জায়গা দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বহু মানুষ বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে এসেছেন। বাসটি যেখানে পড়েছিল সেখানে একটু নদী বয়ে যাচ্ছে। সেটি বিশেষ গভীর না হওয়ায় কেউ কেউ হেঁটে নদী পার হয়ে বাসটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এর সঙ্গে পুলিশও পাল্লা দিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, বাসটিতে ধারণ ক্ষমতার থেকে বেশি যাত্রী ছিল। এই কারণে ভারসাম্য রাখতে না পেরে সেদি খাদে পড়ে যায়। প্রশাসনের কাছে বাসটির দুর্ঘটনার খবর আসে সকাল ৯টা নাগাদ। পুলিশ পৌঁছানোর আগে স্থানীয়রা এগিয়ো আসেন।
এই ঘটনায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “রামনগরের কাছে বাস দুর্ঘটনার খবর অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যের। জেলা প্রশাসনকে উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।” রাজ্য জেলাশাসক এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।