চাপের মুখে পড়ে আটক করে রাখা চিকিৎসককে ছাড়তে বাধ্য হলো পুলিশ

কালো রঙের টিশার্ট পরনে এবং তার উপর লেখা রয়েছে ‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই।’ বুকের উপর ব্যাজে লেখা রয়েছে ‘প্রতীকী অনশনকারী’। কর্তব্যরত এমন একজন চিকিৎসককে দেখে যেনো নড়েচড়ে বসে পুলিশ। তড়িঘড়ি ওই চিকিৎসক তপব্রত রায়কে ধরে নিয়ে আসা হয় ময়দান থানায়। জানা যাচ্ছে, ওই চিকিৎসক সরকারি উৎসব কার্নিভালে এমারজেন্সি ডিউটিতে ছিলেন।

তার বুকে থাকা ব্যাজ দেখে ঘুম উড়ে যায় পুলিশের। পুরসভার এই মেডিকেল অফিসারকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাকে নিয়ে কড়া বার্তা দেয় পুলিশ। আর এরপর ধীরে ধীরে যেনো ঘটনার মোড় অন্যদিকে বাঁক নেয়। কারণ একে একে চিকিৎসকরা থানায় জড়ো হন। চিকিৎসকদের চাপে পড়েই একপ্রকার চিকিৎসক তপব্রত রায়কে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।

থানা থেকে ওই চিকিৎসক যখন বেরোচ্ছেন তার পরনে রয়েছে কালো টিশার্ট এবং তাতে লেখা রয়েছে ‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই।’ সঙ্গে ব্যাজে লেখা জ্বলজ্বল করছে, ‘প্রতীকী অনশনকারী।’ তার সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকেরা। সঙ্গে সঙ্গে স্লোগান ওঠে, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস।”

ঠিক কী কারণে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয় থানায়? এই প্রশ্নে চিকিৎসক তপব্রত রায় জানান, পুলিশ তাকে ডাক দেন “ভাই এদিকে এসো” বলে। এরপর তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি৷ এরপর ওই চিকিৎসককে গাড়িতে বসানো হয়। এরপর থানায় নিয়ে এসে বসিয়ে রাখা হয়৷ তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নেওয়া হয়। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে ব্যক্তিগত জামিনে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।