টলিউড বলতে যাকে সকলে এক ডাকে চেনে তিনি হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে টলিউডে রাজ করছেন তিনি। একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে চলেছেন। বয়স বাড়লেও তার একটুও ছাপ পড়তে দেননি তিনি। রীতিমতো ডায়েটে থাকেন অভিনেতা। তাই বয়স বাড়লেও চামড়া একটুও কুঁচকে যায়নি। বছরের বেশিরভাগ দিন তিনি খান টক দই, শসা কুঁচি ও স্যালাড। কিন্তু এই ডায়েট তিনি একদিন ভাঙেন আর সেটি হলো ভাইফোঁটার দিন।
এদিন তার বোন পল্লবী নিজের হাতে তাকে রান্না করে খাওয়ান। তবে ব্যস্ততার জন্য মাঝেমধ্যে সেই অবসরটুকুও পাওয়া যায়না। তবে ভাইবোনের এই বিশেষ দিনে দাদা ও বোন দু’জনেই চেষ্টা করেন ভাইফোঁটা সফল করে তোলার। তবে এবারেও হয়তো তাদের দেখা হওয়া সম্ভব না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কলকাতা এবং পল্লবী মুম্বাইতে। কাজ বাদ দিয়ে তারা কোনকিছু করেন না। তাদের দু’জনের কাছে কাজ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এই ভাইফোঁটার দিনে প্রসেনজিৎ-কে ভালোবেসে রেঁধে খাওয়ান বোন পল্লবী৷ অন্যান্য দিনের স্যালাডের বাটি সরিয়ে রেখে প্রসেনজিৎ হাতে তুলে নেন মাছ, মাংসে ভরা ভোজের থালি। তবে প্রসেনজিৎ একেবারে তেল মশলা খান না। তাই তার রান্না একটু সতর্ক হয়ে করতে হয়৷ বেশি ঝাল দিয়ে দিলেও মুশকিল। ভাইফোঁটার মেনুতে তবে কী থাকে? পল্লবীর কথায়, পাতলা করে মাটনের ঝোল রান্না করেন তিনি৷ এর সঙ্গে তিনি রান্না করেন পায়েস।
পল্লবীর কথায় তাদের মা বেঁচে থাকতে মা পায়েস করতেন। মা চলে যাওয়ার পর এখন তিনি পায়েস করে দাদাকে খাওয়ান। তবে তার দাদা মিষ্টি একেবারেই খান না৷ মিষ্টি সাজিয়ে ছবি তোলার জন্য রাখতে হয়৷ তারপর সেটি সরিয়ে রাখতে হয়। তবে প্রসেনজিৎ শিঙারা খেতে পছন্দ করেন। তাই ভাইফোঁটা দিতে যাওয়ার সময় মুখার্জি সুইটস্ থেকে শিঙারা নিয়ে যান পল্লবী। তবে এসবের পাশাপাশি ভাইফোঁটায় পল্লবী দাদার জন্য একটি বিশেষ পদ রান্না করেন। আর সেটি হলো দই মাছ।
উপকরণ – দই মাছ রান্না করার জন্য নিতে হবে পাকা রুই, টক দই, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা, গরমমসলা গুঁড়ো, ঘি, নুন ও চিনি এবং পরিমাণ মতন তেল।
প্রণালী – দই মাছ রান্না করার জন্য প্রথমে মাছগুলি ভালো করে ধুয়ে নুন ও টক দই মাখাতে হবে। এরপর কড়াইতে অল্প ঘি ও সাদা তেল দিয়ে গরম করে তাতে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। একটু সোনালী রং ধরলে তাতে সামান্য চিনি ও নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করে তাতে কাঁচা লঙ্কা চেরা দিতে হবে। এরপর ম্যারিনেট করে রাখা মাছগুলি দিয়ে দিতে হবে। দই ও মশলা মাখামাখি হয়ে গেলে তাতে সামান্য জল দিয়ে কিছুক্ষণ ঢাকা দিতে হবে। নামানোর আগে সামান্য গরমমসলা দিতে হবে।