২০২২ সালের ইউরো কাপ ইংল্যান্ডের মহিলা ফুটবলের চিত্র পাল্টে দিয়েছিল। সাত বছরের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি দল, বিপুল বিনিয়োগ, দর্শক বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে যেন নবজাগরণ। ভারতের মহিলা ক্রিকেট কি সেই পথেই হাঁটছে? হরমনপ্রীত কাউরের নেতৃত্বে প্রথম মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতের ক্রিকেট মহল এমন প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জয় শুধু একটি ট্রফি নয়—এটি দীর্ঘ দিনের অবহেলার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ এবং ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের মহাসূচনা।
অবহেলা আর বৈষম্যের দীর্ঘ ইতিহাস
মহিলাদের ক্রিকেট এখনও কম জনপ্রিয়—এটি বহুবার শোনা কথা। কিন্তু এর পেছনে বাস্তব কারণও রয়েছে। পুরুষদের ক্রিকেটে ম্যাচপ্রতি বিশাল দর্শকসংখ্যা, সম্প্রচারস্বত্ব, বিজ্ঞাপন—সব মিলিয়ে প্রচুর ব্যবসার সম্ভাবনা। ফলে কোহলি-রোহিতদের পুরস্কার, চুক্তি, বেতন—সবই আকাশছোঁয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর ভারতীয় পুরুষ দল পেল ১২৫ কোটি টাকা পুরস্কার; হরমনপ্রীতরা পেলেন ৫১ কোটি। কারণটা স্পষ্ট—ব্যবসায়িক পার্থক্য।
তবে এটাও সত্য, জনপ্রিয়তা সময়ের সঙ্গে তৈরি হয়। ১৯৩২ সালে প্রথম টেস্ট খেলা ভারতের পুরুষ দলকে প্রথম বড় সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রায় ৫১ বছর। মেয়েরাও সেই পথেই হেঁটেছেন—২০০৫, ২০১৭, ২০২০ সালে বারবার ফাইনালের দরজায় গিয়ে ফিরতে হয়েছে। কিন্তু এবার আর ব্যর্থতা নয়— ভারতের কন্যারা হাতে তুলেছেন বিশ্বজয়ের ট্রফি।
ফাইনালের আম্পায়ার বিতর্ক—অন্য চোখে মহিলা ক্রিকেট
বিশ্বকাপ ফাইনালের একটি মুহূর্ত নিয়ে এখনও আলোচনা থামেনি—আয়াবঙ্গা খাকার রান আউট। পুরুষদের ক্রিকেটে হলে তৃতীয় আম্পায়ার ২-৩ মিনিট সময় নিয়ে একাধিক অ্যাঙ্গেলে তা পরীক্ষা করতেন। বিজ্ঞাপন বিরতি এবং উত্তেজনা—দু’দিক থেকেই তা লাভজনক। কিন্তু মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্রুত সিদ্ধান্ত—এটা কি তাড়াহুড়ো, নাকি অবহেলা?
পরে দেখা গেছে—খাকা মাত্র এক ইঞ্চি বাইরে ছিলেন। এত বড় ফাইনালে এমন দ্রুত সিদ্ধান্ত একটাই প্রশ্ন তোলে—মহিলা ক্রিকেটকে কি এখনও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়?
বেতন কাঠামো: বৈষম্য আছে, তবুও অগ্রগতি
বিসিসিআই পুরুষ-মহিলা উভয় বিভাগে বার্ষিক চুক্তি করে। কিন্তু পার্থক্য ব্যাপক।
পুরুষ:
A+ ক্যাটেগরি: ৭ কোটি
A ক্যাটেগরি: ৫ কোটি
B ক্যাটেগরি: ৩ কোটি
C ক্যাটেগরি: ১ কোটি
মহিলা:
A ক্যাটেগরি: ৫০ লাখ
B ক্যাটেগরি: ৩০ লাখ
C ক্যাটেগরি: ১০ লাখ
তবুও ম্যাচ ফির ক্ষেত্রে সাম্য তৈরি হয়েছে—টেস্ট, ওডিআই, টি-টোয়েন্টি—সবক্ষেত্রেই নারী-পুরুষ পান সমান ম্যাচ ফি। এটাই বোঝায়—বিসিসিআই ব্যবসায়িক দিকটি বিবেচনা করলেও, সমকাজে সমবেতনকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
জনপ্রিয়তা মানেই ব্যবসা—আর ব্যবসাই বদলে দেয় ছবি
এই সহজ সমীকরণ বহুবার প্রমাণিত। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ ভারতের ক্রিকেটকে বিপ্লবের মুখ দেখিয়েছিল। ঠিক যেমন ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের মহিলাদের ইউরো জয় ফুটবলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে—বহুজাতিক সংস্থার বিনিয়োগ, দল সংখ্যা বৃদ্ধি, দর্শকসংখ্যায় আগের তুলনায় তুমুল ঢেউ।
এবার একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ভারতের মহিলা ক্রিকেটে। বিশ্বজয়ের পর মেয়েদের ব্র্যান্ড ভ্যালু হঠাৎই কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। স্মৃতি মন্ধানার মতো কেউ থাকলেও, এবার সবচেয়ে আলোচনায় জেমাইমা রদ্রিগেজ়। তাঁর বিজ্ঞাপনী ফি ৭৫ লাখ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৫ কোটি। মন্ধানাও প্রতিটি বিজ্ঞাপনের জন্য পাচ্ছেন অন্তত ২ কোটি।
এটি কেবল শুরু। বিজ্ঞাপন এজেন্সিগুলি বলছে—ফোন ধরার সময় নেই, কোম্পানিগুলি মহিলা ক্রিকেটারদের চাইছে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে।
ডব্লিউপিএল—নতুন বিপ্লবের মঞ্চ
২০২৩ সালে ডব্লিউপিএল শুরু হওয়া ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা। এবার বিশ্বজয়ের পর লিগে আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আগের নিলামে মন্ধানার দাম ছিল ৩.৪ কোটি। এবার রিটেনশনে বেঙ্গালুরু তাঁকে ধরে রেখেছে সাড়ে ৩ কোটিতে। হরমনপ্রীতের দামও বেড়ে পৌঁছেছে সাড়ে ৩ কোটিতে।
বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস—
আগামী নিলামে মহিলা ক্রিকেটারদের দাম ৫০–১০০% পর্যন্ত বাড়তে পারে।
মহিলা ক্রিকেটে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে একটি ট্রফি
ঝুলন গোস্বামী বিশ্বজয়ের পর আবেগে ভেসেছিলেন। তাঁর গলায় তখন শুধু গর্ব। তিনি জানেন—এই ট্রফি ভারতের লক্ষাধিক মেয়েকে আরও সাহস দেবে, মাঠে নামতে উদ্বুদ্ধ করবে। শেফালির মতো অনেক মেয়েকে আর ‘ছেলে সেজে’ খেলতে হবে না। রিচা ঘোষের মতো কাচ ফাটানোর স্বাধীনতা পাবে দেশের কন্যারা।
এই পরিবর্তন শুধু মাঠে নয়—সমাজেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
বদলে যাচ্ছে ভারতীয় পরিবারও
ইংল্যান্ডের ইউরো জয়ের পরে হাজার হাজার পরিবার মেয়েদের ফুটবল খেলতে পাঠিয়েছে। এতে কেবল খেলোয়াড় সৃষ্টি হয়নি—কিশোরীদের ফিটনেস, আত্মবিশ্বাস, সামাজিক অবস্থান—সবই বদলে গিয়েছে।
ভারতেও সে পরিবর্তনের ইঙ্গিত স্পষ্ট। বিশ্বকাপ জয় ছোট শহরের মেয়েদেরও অনুপ্রাণিত করছে। বাবা-মা মেয়েদের খেলায় পাঠাতে আরও উৎসাহী হচ্ছেন। কেবল ক্রিকেটার নয়—ফিটনেস, আত্মবিশ্বাস, ক্যারিয়ার—সবই তৈরি হবে ঘর থেকেই।
এখনই সময়—বাংলা, ভারত ও বিশ্বকে দেখাতে নতুন দিশা
ভারতের মহিলা ক্রিকেটের এই সাফল্য এক দিনে আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা, সংগ্রাম, অবহেলার বিরুদ্ধে লড়াই—ফল মিলেছে এবার।
অঞ্জুম চোপড়া থেকে মিতালি রাজ, পূর্ণিমা রাও থেকে ঝুলন—সবাই পথ তৈরি করেছেন। সেই পথে হরমনপ্রীতরা হাঁটলেন, এবার পথ চলবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
ব্যবসায়িক লাভ বাড়লে সমতা আসবেই
সংস্থাগুলি বলছে—মহিলা ক্রিকেটের বাজার দ্রুত বাড়ছে। দর্শকসংখ্যা সমান হলে আয়ও বাড়বে। আর যখন আয় বাড়বে—বেতনের পার্থক্যও কমে যাবে।
বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি রজার বিন্নী বলেছেন—
“মেয়েদেরও এখন ছেলেদের মতো সম্মান দেওয়ার সময় এসে গেছে।”
এটাই নতুন যুগের সূচনা।
এটাই ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের নতুন সকাল।
শেষ কথা:
হরমনপ্রীতদের বিশ্বজয় শুধু একটি ট্রফি নয়—এটি ভারতের খেলাধুলায় নতুন বিপ্লবের বার্তা। ১৯৮৩ যদি ছেলেদের ক্রিকেটকে বদলে দিতে পারে, তবে ২০২৫-ও পারে মেয়েদের ক্রিকেটকে বিশ্বমঞ্চে নতুন পরিচয় দিতে। এখন শুধু অপেক্ষা সমাজ, মিডিয়া এবং বোর্ডের আরও সহযোগিতা—তাহলেই মেয়েরা মেলাবে সেই স্বপ্নের ডানা, যেটি এত দিনে অবহেলার ভারে আটকে ছিল।
FAQ
1. প্রশ্ন: ভারতের মহিলা দল প্রথম কবে বিশ্বকাপ জিতল?
উত্তর: ২০২৫ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ট্রফি জিতে।
2. প্রশ্ন: হরমনপ্রীত কাউর কোন ভূমিকায় খেলেন?
উত্তর: ব্যাটার ও অধিনায়ক।
3. প্রশ্ন: বিশ্বজয়ের পরে মহিলা দলের পুরস্কার কত ঘোষণা হয়?
উত্তর: মোট ৫১ কোটি টাকা।
4. প্রশ্ন: পুরুষ দলের বিশ্বকাপ পুরস্কার কত ছিল?
উত্তর: ১২৫ কোটি টাকা।
5. প্রশ্ন: পুরস্কারের পার্থক্য কেন?
উত্তর: পুরুষদের ক্রিকেটে আয় ও জনপ্রিয়তা বেশি বলেই।
6. প্রশ্ন: মহিলাদের ম্যাচ ফি কি পুরুষদের সমান?
উত্তর: হ্যাঁ, টেস্ট, ওডিআই ও টি-টোয়েন্টি—সব ক্ষেত্রেই সমান।
7. প্রশ্ন: হরমনপ্রীত কোন ক্যাটেগরিতে চুক্তিবদ্ধ?
উত্তর: মহিলা A ক্যাটেগরি (৫০ লাখ/বছর)।
8. প্রশ্ন: মহিলাদের ক্রিকেটে আম্পায়ারিং বিতর্কটি কী ছিল?
উত্তর: আয়াবঙ্গা খাকার রান আউট দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া।
9. প্রশ্ন: বিশ্বকাপ ফাইনালের ওই রান আউট কেন বিতর্কিত?
উত্তর: তৃতীয় আম্পায়ার একাধিক ক্যামেরা দেখেননি।
10. প্রশ্ন: জেমাইমা রদ্রিগেজের ব্র্যান্ড ভ্যালু কেন বেড়েছে?
উত্তর: বিশ্বজয়ের পর বিজ্ঞাপন সংস্থার চাহিদা হঠাৎ বেড়েছে।
11. প্রশ্ন: জেমাইমার বর্তমান বিজ্ঞাপনী ফি কত?
উত্তর: প্রায় ১.৫ কোটি টাকা।
12. প্রশ্ন: বিশ্বজয়ের পর স্মৃতি মন্ধানা কত উপার্জন করতে পারেন বিজ্ঞাপনে?
উত্তর: প্রতিটি বিজ্ঞাপনে অন্তত ২ কোটি টাকা।
13. প্রশ্ন: ডব্লিউপিএল কী?
উত্তর: Women’s Premier League—মহিলা আইপিএল।
14. প্রশ্ন: ডব্লিউপিএলে হরমনপ্রীতের মূল্য কত পর্যন্ত বেড়েছে?
উত্তর: সাড়ে ৩ কোটি টাকা।
15. প্রশ্ন: ডব্লিউপিএলে স্মৃতি মন্ধানার দাম কত?
উত্তর: সাড়ে ৩ কোটি টাকা রিটেনশন ভ্যালু।
16. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটে জনপ্রিয়তা কেন বাড়ছে?
উত্তর: বিশ্বকাপ জয়, উন্নত সম্প্রচার, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা।
17. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটে প্রধান চ্যালেঞ্জ কী?
উত্তর: বাণিজ্যিক বিনিয়োগ তুলনামূলক কম।
18. প্রশ্ন: ২০২২ সালের ইউরো ইংল্যান্ডের মহিলা ফুটবলকে কীভাবে বদলিয়েছে?
উত্তর: জনপ্রিয়তা দ্বিগুণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দল বাড়া—সবই উন্নতি।
19. প্রশ্ন: ভারতেও কি একই পরিবর্তন আসতে পারে?
উত্তর: বিশেষজ্ঞদের মতে অবশ্যই আসবে।
20. প্রশ্ন: নারী ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তি কেন কম?
উত্তর: মহিলাদের ক্রিকেটে বোর্ডের আয় কম।
21. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটে কি জনপ্রিয় চেহারা দরকার?
উত্তর: হ্যাঁ, কোহলির মতো আইকন জনপ্রিয়তা বাড়ায়।
22. প্রশ্ন: ক্রিকেটারদের আয় বাড়াতে কী দরকার?
উত্তর: নিয়মিত সাফল্য ও বাজারে বাড়তি আগ্রহ।
23. প্রশ্ন: ছোটদের ক্রিকেটে অংশগ্রহণ বাড়ছে কেন?
উত্তর: মেয়েদের বিশ্বজয় প্রেরণা দিচ্ছে।
24. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটে কি দর্শকসংখ্যা বাড়ছে?
উত্তর: হ্যাঁ, বিশেষ করে মোবাইল ও সামাজিক মাধ্যমে।
25. প্রশ্ন: ফাইনালের দর্শকসংখ্যা কত ছিল?
উত্তর: প্রায় ১৮.৫ কোটি—পুরুষদের ফাইনালের সমান।
26. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কি উজ্জ্বল?
উত্তর: বর্তমান সাফল্য ইঙ্গিত দিচ্ছে—হ্যাঁ।
27. প্রশ্ন: ইংল্যান্ডে মহিলা ফুটবলের দল সংখ্যা কত বেড়েছে?
উত্তর: ৫৬৩২ থেকে বেড়ে ১২,১৫০।
28. প্রশ্ন: ভারতেও কি দল সংখ্যা বাড়বে?
উত্তর: সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি।
29. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটারদের ব্র্যান্ড ভ্যালু কেন বাড়ছে?
উত্তর: বিশ্বজয়ের কারণে জনপ্রিয়তা বাড়া।
30. প্রশ্ন: ডব্লিউপিএল কি যুবতী ক্রিকেটারদের সুযোগ দেবে?
উত্তর: অবশ্যই, এটি প্রতিভা তুলে আনবে।
31. প্রশ্ন: ঝুলন গোস্বামী বিশ্বজয়ের পরে কাঁদলেন কেন?
উত্তর: জীবনে না পাওয়া সাফল্য দলের মাধ্যমে পেয়েছেন।
32. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটে আগের সাফল্য কী ছিল?
উত্তর: ২০০৫, ২০১৭, ২০২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল।
33. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটকে অবহেলা করা হতো কেন?
উত্তর: জনপ্রিয়তা, বিনিয়োগ ও প্রচারের অভাব।
34. প্রশ্ন: জনপ্রিয়তা কীভাবে বাড়ে?
উত্তর: সাফল্য + মিডিয়া কাভারেজ + ব্র্যান্ডিং।
35. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেট কি লাভজনক হতে পারে?
উত্তর: বিশ্বজয়ের পর দ্রুতই লাভজনক হবে।
36. প্রশ্ন: বিসিসিআইয়ের চুক্তিতে কি পরিবর্তন আসতে পারে?
উত্তর: আগামীতে ক্যাটেগরি বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
37. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেট কি স্কুল-কলেজে বাড়ছে?
উত্তর: হ্যাঁ, আগ্রহ বাড়ছে তিনগুণ।
38. প্রশ্ন: পরিবার কি মেয়েদের খেলায় পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছে?
উত্তর: বিশ্বজয়ের পর উৎসাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
39. প্রশ্ন: ভারতের মহিলা ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কার হাতে?
উত্তর: হরমনপ্রীত, স্মৃতি, শেফালি, জেমাইমা প্রমুখ।
40. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটাররা কি পুরুষদের মতো জনপ্রিয় হতে পারবেন?
উত্তর: সাফল্য অব্যাহত থাকলে অবশ্যই।
41. প্রশ্ন: ডব্লিউপিএল কি আইপিএলের মতো হবে?
উত্তর: কয়েক বছরের মধ্যে জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়বে।
42. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটে বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ কেমন?
উত্তর: বহুজাতিক ব্র্যান্ড ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখাচ্ছে।
43. প্রশ্ন: মিডিয়ার ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: প্রচার যত বেশি, বাজার তত বাড়বে।
44. প্রশ্ন: মহিলা ক্রিকেটের বাধাগুলো কী?
উত্তর: অবকাঠামো, প্রচার, আর্থিক সাপোর্ট।
45. প্রশ্ন: বিশ্বজয়ে মেয়েরা কোন বার্তা দিল?
উত্তর: “ক্রিকেট সবার—শুধু পুরুষদের নয়।”
46. প্রশ্ন: ভারতের মহিলা ক্রিকেট কি বিশ্বে এক নম্বর হতে পারে?
উত্তর: ধারাবাহিক সাফল্য থাকলে অবশ্যই।
47. প্রশ্ন: মন্ধানা কেন সবসময় ব্র্যান্ডের পছন্দ?
উত্তর: দক্ষতা + ব্যক্তিত্ব + প্রচারযোগ্যতা।
48. প্রশ্ন: সমাজ কি মহিলা খেলোয়াড়দের বেশি গ্রহণ করছে?
উত্তর: হ্যাঁ, দ্রুত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
49. প্রশ্ন: বিশ্বজয় কি নতুন প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে?
উত্তর: ছোট মেয়েদের মধ্যে উৎসাহ তীব্রভাবে বেড়েছে।
50. প্রশ্ন: ২০২৫ সালের এই জয় কি ভারতের ১৯৮৩-র মতো যুগান্তকারী হতে পারে?
উত্তর: অনেকের মতে—হ্যাঁ, এটি নতুন বিপ্লবের সূচনা।
#WomensCricketRevolution #TeamIndiaWomen #CricketHistory

