উত্তপ্ত বাংলাদেশ, নিখোঁজ ফেরদৌস! সন্ধান মিলল কী?

উত্তপ্ত বাংলাদেশ, হাসিনার মন্ত্রিসভায় ছিলেন তিনি। গত সোমবার থেকে নিখোঁজ অভিনেতা ফেরদৌসের। অবশেষে তাঁর কি কোনো সন্ধান পাওয়া গিয়েছে?

ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। আর তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। বাংলাদেশ উত্তপ্ত হতেই ৫ অগস্ট থেকে তাঁর কোনও খোঁজ নেই।

সোমবার থেকে নিখোঁজ অভিনেতা ফেরদৌস

সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি যেনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌসের। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এও শোনা যায় শেখ হাসিনার মতই তিনিও এপার বাংলায় এসেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিনি কিন্তু এক সময় ভারতের একাধিক ছবিতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। বর্তমানে এই বিপদের সময় এই দেশকেই নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে হয়েছে তাঁর । যদিও আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন ফেরদৌস নাকি মোটেই দেশ ছাড়েননি। বরং তিনি নাকি বাংলাদেশেরি কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।

ফেরদৌসকে শেষবারের মত দেখা কোথায় দেখা গিয়েছে?

বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অভিনেতা তাঁর মোবাইল ফোন অফ করে রেখেছেন। গত সপ্তাহে তাঁকে শেষবারের মত দেখা গিয়েছে। বিটিভি ভবন সেই সময় কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা দেখার জন্য তিনি কয়েকজনের সঙ্গে সেখানে পৌঁছেছিলেন সবটা সরেজমিনে দেখতে। তারপর থেকে আর তাঁকে দেখা যায়নি।

গত জুলাই মাসে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে ওপার বাংলা। মাঝে সেই আন্দোলনের আঁচ কিছুটা স্তিমিত হলেও সম্পূর্ণ নিভে যায়নি। এর পর সেই আন্দোলনই হয়ে ওঠে হাসিনার পদত্যাগ আন্দোলন। ৫ আগস্ট সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে বোনের সাথে ভারতে পালিয়ে আসেন। এরপর ও পার বাংলার গণ ভবন দখল করে নেয় উত্তাল জনতা। একই সঙ্গে শুরু হয় সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার। ইসকন মন্দির ভাঙচুর হয়, আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়াও হয়। হিন্দু মানুষের বাড়িঘর ভাঙচুর বা আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন,
*বিয়ের পর কি প্রশ্ন করেছিলেন সালমান? লজ্জায় লাল হয়ে যান শ্রীদেবী