নিশ্চিৎ মৃত্যু ছিল সেদিন! রাজস্থানে শুটিং করতে গিয়ে যে ভাবে প্রাণে বাঁচেন বিবেক

বলিউডে একের পর এক সফল ছবি উপহার দিয়েছিলেন বিবেক ওবেরয়— সাথিয়া, কোম্পানি, প্রিন্স, মস্তি–র মতো জনপ্রিয় ছবিগুলি তাঁকে রাতারাতি তারকা করে তুলেছিল। পরিচালক ও প্রযোজকদের চোখে তখন নতুন ভরসার মুখ ছিলেন তিনি। তবুও সেই উজ্জ্বল যাত্রা মাঝপথেই থেমে যায় নানা বিতর্কে, বিশেষ করে ঐশ্বর্যা রাই ও সলমন খানের সম্পর্ক ঘিরে তৈরি হওয়া তুমুল চাপান-উতোরে। ক্যারিয়ার নাকি সেখান থেকেই ধাক্কা খায় তাঁর।

কিন্তু বিতর্কের বহু আগে এক ঘটনা বিবেকের জীবনে চরম আতঙ্কের স্মৃতি হয়ে রয়েছে। ঘটনাটি ২০০২ সালের, রাজস্থানে এক ছবির শুটিং চলাকালীন। বিকানের থেকে জৈসলমেরের পথে রাতের যাত্রায় বিপদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেতা। চওড়া জাতীয় সড়কে গাড়ির চালক অতিরিক্ত গতি তুলতে শুরু করতেই বিবেক আপত্তি জানান। কিন্তু চালক শুনতে চাননি কথায়।

একসময় ক্লান্তিতে ঝিমিয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা। হঠাৎ বিকট শব্দে চমকে জেগে উঠে দেখেন, তাঁদের গাড়ি থেমে রয়েছে, আর কাচ ভেঙে লোহার একটি বিশাল রড ঢুকে এসেছে তাঁর মাথার ঠিক উপরে। কয়েক ইঞ্চি এদিক-ওদিক হলেই সেই রড সোজা গিয়ে গাঁথা পড়ত তাঁর বুকে।

বিবেক জানান, সামনে থাকা একটি উটবোঝাই গাড়ি থেকে বেরিয়ে থাকা লোহার রডই এই বিপদের কারণ। সৌভাগ্যবশত তাঁর গায়ে একটিও আঁচড় লাগেনি। তবে সেই ভয়াবহ মুহূর্ত আজও ভুলতে পারেন না তিনি।

সে দিনের পর অভিনেতা নাকি আর কখনও রাতে দূরপাল্লার যাত্রা করেন না। জীবনের সঙ্গে এমন সন্নিকট মুখোমুখি হওয়া যে কাউকে বদলে দিতে পারে— বিবেকের কথায়, “আমি দ্বিতীয়বার জীবন পেয়েছিলাম সেদিন।”

এই অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে শুধুই একটি দুর্ঘটনা নয়, বরং জীবনের মূল্য নতুন করে উপলব্ধি করার মুহূর্ত।

FAQ

১. প্রশ্ন: বিবেক ওবেরয়ের দুর্ঘটনাটি কবে ঘটেছিল?
উত্তর: দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০০২ সালে, রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন।

২. প্রশ্ন: কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছিলেন বিবেক?
উত্তর: তিনি বিকানের থেকে জৈসলমেরের দিকে যাচ্ছিলেন।

৩. প্রশ্ন: দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী ছিল?
উত্তর: উটবোঝাই একটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে থাকা লোহার রড তাঁদের গাড়ির কাচ ভেঙে ঢুকে পড়ে।

৪. প্রশ্ন: দুর্ঘটনার সময় গাড়ির চালক কী করেছিলেন?
উত্তর: ভাল রাস্তার কারণে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, যদিও বিবেক তা না করতে বলেছিলেন।

৫. প্রশ্ন: দুর্ঘটনায় বিবেকের কোনও শারীরিক আঘাত লাগে কি?
উত্তর: না, তাঁর গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি।

৬. প্রশ্ন: লোহার রডটি কোথায় আঘাত করেছিল?
উত্তর: রডটি কাচ ভেঙে তাঁর মাথার ঠিক উপর দিয়ে ঢুকে আসে।

৭. প্রশ্ন: যদি রডটি সামান্য এদিক-ওদিক হত তাহলে কী হতে পারত?
উত্তর: রডটি সরাসরি তাঁর বুকে গেঁথে যেতে পারত, যা প্রাণঘাতী হতে পারত।

৮. প্রশ্ন: দুর্ঘটনার পরে বিবেক কী সিদ্ধান্ত নেন?
উত্তর: তিনি আর কখনও রাতের বেলা দূরপাল্লার যাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নেন।

৯. প্রশ্ন: ঘটনাটি বিবেকের জীবনে কী প্রভাব ফেলেছিল?
উত্তর: তিনি এটিকে ‘দ্বিতীয়বার জীবন পাওয়া’ হিসেবে মনে করেন এবং জীবনকে নতুনভাবে মূল্য দিতে শুরু করেন।

১০. প্রশ্ন: এই দুর্ঘটনার সময় তিনি কোথায় বসে ছিলেন?
উত্তর: বিবেক চালকের পাশের আসনে বসে ছিলেন।

#BollywoodNews
#VivekOberoi
#TrendingStories

শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক