লোকসভায় “সংবিধান বিরোধী” বিল পেশ অমিত শাহের, শাহের দিকে কাগজ ছুঁড়লেন বিরোধীরা

লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী সংক্রান্ত একটি নতুন বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই বিল পেশ করার পর বিরোধী দলগুলি বিরোধিতা করেছে। এই নতুন বিল যেটিতে বলা হয়েছে, এই বিল পাশ হলে যেকোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বা প্রধানমন্ত্রীকে তার পদ থেকে সরানো যাবে, যদি ওই ব্যক্তি ৩০ দিন কারাগারে থাকেন। তিনি যদি দোষী প্রমাণিত না হন তা হলেও তাকে তার পদ থেকে সরানো যাবে। এই নতুন বিল লোকসভায় পেশ করার পর বিরোধী দলগুলি চরম বিরোধিতা করতে শুরু করে।

কংগ্রেস, তৃনমুল সহ একাধিক রাজনৈতিক দলগুলি অমিত শাহের পেশ করা বিলকে ‘ড্রাকোনিয়ান’ বলে অভিহিত করেছেন। বিরোধী দলগুলি বিরোধিতা করার পাশাপাশি স্লোগান তোলেন, “সংবিধান মত তোড়ো” অর্থাৎ সংবিধান ভেঙো না। লোকসভায় অমিত শাহের দিকে কাগজ ছোঁড়েন অনেকে। সেইসময় কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল অমিত শাহের দিকে প্রশ্ন ছোঁড়েন। তিনি অমিত শাহের জেল যাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন।

অমিত শাহ গুজরাটের মন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাট হিংসা মামলার সময় তিনি কি পদত্যাগ করেছিলেন? যদিও অমিত শাহ জানান, তার বিরুদ্ধে আনা হয় মিথ্যা অভিযোগ। যতদিন তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হননি ততদিন তিনি সবরকম কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলেন বলেও জানান তিনি। তবে আপাতত অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়েছে। কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, তারা আপাতত বিলটি সংযুক্ত কমিটির কাছে পাঠানোর প্রস্তাব দিচ্ছে।

তবে ইতিমধ্যে একাধিক নেতা বিলটিকে ‘সংবিধান বিরোধী’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। এই বিল প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা বলেন, “আমি এটিকে সম্পূর্ণরূপে কঠোর একটি বিষয় হিসেবে দেখছি। কাল হয়ত একজন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের মামলা করা হবে এবং তাকে দোষী সাব্যস্ত না করে ৩০ দিনের জন্য গ্রেফতার করে রাখার পর তাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এটি সম্পূর্ণরূপে সংবিধান বিরোধী, অগণতান্ত্রিক এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”

error: Content is protected !!