কৃষ্ণনগরের ওই তরুণীর মৃত্যু কাণ্ডে উঠে আসছে নতুন তথ্য। জানা যাচ্ছে, ওই তরুণীকে ৪০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন তার প্রেমিক। তরুণীর মৃত্যুর পর ওই যুবককে মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধরা হয়েছে। তাকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ একাধিক তথ্য জানতে পেরেছে বলে সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ওই যুবকের বাইকের নেশা রয়েছে।
তিনি বাইক চালাতে ভালোবাসেন। তার বাইক কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। এই কারণে তিনি তার প্রেমিকার কাছে টাকা ফেরত চাইছিলেন। জানা যাচ্ছে, তিনি টাকা ফেরতের আশ্বাসও পেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। কৃষ্ণনগরে তরুণী মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। ওই তদন্তকারী সূত্রে মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, ওই যুবক বাইক কেনার জন্য উদগ্রীব হয়েছিলেন।
কিছুদিন আগে প্রেমিকাকে সঙ্গে নিয়ে বাইকের শোরুমে ঘুরে এসেছিলেন। সেখানে জানিয়ে এসেছিলেন কালি পুজোর আগে বাইক বুক করবেন। এর পাশাপাশি ওই যুবক দেশ বিদেশের নানান বাইক সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করতেন ইন্টারনেটে। এসবের মাঝে প্রেমিকার সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সেইসময় তাদের মধ্যে টাকা ধার নিয়ে কোনো বচসা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই যুবকের সঙ্গে তরুণীর কথোপকথন সম্পর্কে তদন্ত করে আরও অনেককিছু জানা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে কী কী বিষয় জানা গিয়েছে তা এখনই প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। এর পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর অনেককিছু নির্ভর করছে। ওই রিপোর্ট হাতে এলে অনেক রহস্য উদঘাটন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে মেয়ের মৃত্যুতে শোকাতুর তার পরিবার। মৃত তরুণীর বাবা মা জানিয়েছেন, মেয়ের মৃত্যুর তদন্তে পুলিশের উপর তাদের আস্থা নেই। পরিবারের দাবি, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। তাই তারা সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন। বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে তরুণীর দেহের ময়নাতদন্ত হওয়ার পর নবদ্বীপ শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ওই তরুণীর মৃত্যুতে ধৃত যুবকের বাবার দাবি, কোনো মেয়ের মৃত্যু হলে তার প্রেমিক কখনও দোষী হতে পারে না। তার ছেলে নির্দোষ।