বিয়ে-বাচ্চা গোপন করে প্ৰেম, পরে ১৮০ ডিগ্রি পাল্টি খান সইফ, বিস্ফোরক প্রাক্তন প্রেমিকা রোজা

বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিং বয়সে অনেক বড় হওয়া সত্বেও তাঁকে বিয়ে করেছিলেন ছোটে নবাব সইফ আলি খান। কিন্তু টেকেনি সেই বিয়ে। ইব্রাহিম আলি খান ও সারা আলি খান দুই সন্তানকে নিয়ে পতৌদি পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে আসেছেন অমৃতা। আজও তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। দুই ছেলেমেয়েকে মানুষ করতেই নিজের জীবন অতিবাহিত করে দিয়েছেন। অন্যদিকে সইফ? তিনি কিন্তু থেমে থাকেননি। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে মুভ অন করে গিয়েছেন। অমৃতার সাথে বিচ্ছেদের পর সইফের জীবনে আসে নতুন নারী। তিনি হলেন বিদেশি মডেল রোজ়া কাতালানো। শুরুতে সইফের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ ভাল থাকলেও সেই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন রোজ়া। অবাক করে দেওয়ার মতো বেশ কিছু কথা বলেছিলেন অনেক পরে।

সইফের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার সময় রোজ়া জানতেনই না যে সা সইফের দুটি সন্তান আছে। সে বিবাহত। সাইফের প্রেমে ভেসে গিয়েছিলেন রোজ়া। কিন্তু সত্য জানার পর মানসিকভাবে আহত হয়েছিলেন খুব। এক সাক্ষাৎকারে রোজ়া জানিয়েছেন, “আমি প্রথমটায় খুবই হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু সইফকে এত ভালবাসতাম যে, সবটা মেনেও নিয়েছিলাম।” এমনকি ইব্রাহিম-সারাকে নিজের সন্তানের মতোই ভালবাসতে শুরু করেছিলেন রোজ়া। ইব্রাহিম-সারা খুবই মিষ্টি ছেলেমেয়ে। ওদের তিনি কোনওদিনও ভুলতে পারব না। রোজা আরও জানিয়েছিলেন, “আমি যখন ভারতে আসি, ওরাই আমাকে সবটা চিনিয়েছিল। ওদের জন্য আমার আজও মন কেমন করে। সইফের সঙ্গে ব্রেকআপের পর আমার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগত ওদের জন্যই।”

রোজ়া জানিয়েছিলেন, একটা সময় পর সইফ নাকি পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছিলেন। তিনি নাকি রূপান্তরিত হয়েছিলেন এক অন্য মানুষে। রোজ়ার কথায়, “মনে হত পয়সার উল্টো পিঠ দেখছি। যে মানুষটাকে আমি প্রাণ দিয়ে ভালবেসেছিলাম, দেখলাম সে এক্কেবারে ১৮০ ডিগ্রি পাল্টে গিয়েছে। আমাকে এড়িয়ে চলত সইফ।” দিনের পর-দিন কেটে গেলেও রোজাকে নিজে থেকে কখনও ফোন করত না।

রোজ়ার দাবি করেছেন, সইফ নাকি নিজে থেকে আগ্রহ দেখাতেন না তাঁর প্রতি। এর পর রোজ়া বিষয়টিকে ‘একতরফা’ সম্পর্কের নামও দিয়েছিলেন। তিনি দুঃখ করে বলেছিলেন, “আমি বুঝতে পেরেছিলাম একতরফা সম্পর্ক বেশিদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। সম্পর্কটায় একমাত্র আমিই পড়ে ছিলাম। মনে হত সইফের মন উঠে গিয়েছিল। তাই বেরিয়ে আসি বাধ্য হয়ে।”

সইফ ও রোজ়া কাতালানোর সম্পর্ক ভাঙার জন্য অনেকেই করিনা কাপুর খানকে দায়ী করেন। তবে এ বিষয়ে সইফ জানিয়েছিলেন, রোজ়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পরই নাকি ধীরে ধীরে করিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল তাঁর। তাই রোজার সাথে সম্পর্ক ভাঙার জন্য কোনওভাবেই করিনা দায়ী নন। সম্পর্ক ভাঙার বছর কয়েক পর সইফ করিনাকে বিয়ে করেন। নিজের হাতে করিনার নামের ট্যাটুও করিয়েছেন সইফ আলি খান। তাঁদের দুজনের এখন সাজানো সংসার। দুই সন্তানের জন্মও দিয়েছেন এই দম্পতি, তৈমুর ও জেহ। অন্যদিকে রোজ়া? তিনি এখন শুধুই ইতিহাসের পাতায়।