৩০ বছরের অভিনয় জীবনে এই প্রথম তিনি ভূষিত হলেন জাতীয় পুরস্কারে। তিনি হলেন রানী মুখার্জি। তার পেশাদার জীবনে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার মধ্যে একাধিক ছবি যেমন দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেছে তেমনই কিছু ছবি স্মৃতির আড়ালে চলে গিয়েছে। আর সেই জনপ্রিয় ছবি যেগুলি দর্শককে ভাবিয়েছে তেমনই একটি ছবি হল ‘মিসেস চ্যাটার্জী ভার্সেস নরওয়ে’। ছবিতে অভিনয় করেছেন রানী মুখার্জি।
এবার এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেলেন তিনি। এদিন রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেন অভিনেত্রী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাকে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার নিতে এসে এদিন রানী মুখার্জির সাজ সকলের নজর কাড়ে। স্নিগ্ধ ও সাধারণ সাজে রানী মুখার্জি যেনো আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিলেন। এদিন খয়েরী রঙের শাড়িতে নিজেকে সাজিয়ে তুলেছিলেন রানী। আঁচল ছেড়ে মানানসই ব্লাউজে সাধারণ একটি লুক দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
এর পাশাপাশি তার বাম হাতে চুড়ি ও ঘড়ির পাশাপাশি আঁচল ধরেছিলেন যা তার লুককে এক বিশেষ মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। চুলগুলি ছেড়ে রেখেছিলেন। এর পাশাপাশি তার গলায় একটি চোকার দেখা গিয়েছে, কানে ঝোলা দুল ছিল তার যা তাকে আরও সুন্দর করে তুলেছিল। সঙ্গে মুখে ছিল মানানসই মেকাপ। তবে গলায় চোকারের পাশাপাশি ছিল আরও একটি নেকলেস। আর সেটিই যেনো এদিন অভিনেত্রীর সাজের মূল বিশেষত্ব ছিল।
চোকারের নীচে রানী মুখার্জির গলায় ছিল সরু একটি হার। আর তাতে রানী মুখার্জির মেয়ে আদিরার নাম লেখা ছিল। জাতীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চে মেয়ে আদিরাকে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। তবে তাতে কী? দিব্যি মেয়ের একটি অংশকে নিজের সঙ্গে রেখেছেন। মেয়ের নাম লেখা হার নিজের গলায় পরে পুরস্কার নিতে হাজির হন অভিনেত্রী। পুরস্কার জেতার পর আবেগি হয়ে পড়েন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেন, এই পুরস্কার তার বাবা, সমস্ত ফ্যানেদের জন্য।