গত ৮ই আগস্টের মধ্যরাতে আর জি কর মেডিকেল হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে নির্মম পাশবিক অত্যাচারের পর ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। আর এই ঘটনার জেরে গোটা রাজ্য সহ দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় নেমে এসেছে। খোদ কলকাতার বুকে এমন নৃশংস ঘটনা দেখে শিউরে উঠছেন অনেকে। তবে কি হাসপাতালের ঘরে বিশ্রাম নেওয়াই ওই পড়ুয়ার কাল হলো? প্রশ্ন রয়েছে অনেক কিছু উত্তর কোথায়! দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা হাসপাতালের কাজ করে গিয়েছেন তিনি।
অবশেষে কাজের পর বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সেমিনার হলে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরই সেই রাতে নেমে আসে তার উপর পাশবিক অত্যাচার। তার উপর হওয়া নৃশংসতার কথা ভাবলে যেনো শিউরে উঠতে হয়। আর এরপরই তার উপর হওয়া নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে গোটা রাজ্য জুড়ে মহিলারা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। বিচার চেয়ে সকলেই সমবেত হয়ে গলা ফাটিয়েছেন।
রাতের অন্ধকার আর নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। নিজের কর্মক্ষেত্রেও নারীরা আর নিরাপদ নন তা যেনো এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। ঘটনার প্রতিবাদে গোটা রাজ্য সহ দেশের মানুষ গর্জে উঠেছেন। প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশের মাটিতেও। গত ১৪ই আগস্টের রাতে মেয়েদের ‘রাত দখল’-এর প্রতিবাদ যেনো আরও জোড়ালো করেছে বিচারের দাবিকে।
তবে এদিন শুধু মহিলারা নয়, সঙ্গ দিলেন পুরুষেরা। “পাশে থাকতে দিন” এই অনুরোধে তারাও হাঁটলেন মেয়েদের সঙ্গে। তা দেখেই এবার গর্জে উঠলেন সৌরভ দাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তিনি লিখলেন, “হাসি পায় যখন মাছের পাহারায়, লোকের কাছে প্রাসঙ্গিক হতে এবং সহমর্মিতা দেখাতে বিড়াল পৌঁছে যায়। যারা নিজেরাই বহুবার মহিলাদের অসম্মান করেছেন। নির্লজ্জ। মেয়েদের দুর্বল ভাবা বন্ধ করুন! এখন থেকে সব রাত ওদের।”
তিনি আরও বলেন, “যারা এই জঘন্য কাজ করছেন, করে থাকেন, তারা মহিলাদের পাশে দাঁড়িয়ে পৌঁছে গেলেন মাঝ রাতে?” এই পোস্টের পর সকলেই সৌরভ পোস্টে তাকে কটুক্তি করতে ছাড়েননি। কেউ লিখেছেন, “লজ্জা করে না। যে পার্টির হয়ে কথা বল, সেই পার্টির সবাই জড়িত, তারপরও সাধু সাজো?” এমন নানান মন্তব্য ধরা পড়েছে কমেন্ট বক্সে।
আরও পড়ুন,
*RG Kar Case: দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে সিবিআই, নিহত তরুণী ৩ সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদ