আর জি কর মেডিকেল হাসপাতালে তরুণীকে একাধিক বার ধর্ষণ, ধৃত অভিযুক্তের সঙ্গে আরও কি কেউ ছিল?

kmc 20240811 223538 XRun5Ath5O

আর জি কর মেডিকেল হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম। একাধিক মিছিল ও আন্দোলন গড়ে উঠেছে হাসপাতাল চত্বরে। এরই মাঝে ওই মৃত তরুণীর দেহ পরীক্ষা করে মিলেছে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন। আর এরপরই জোরালো হচ্ছে প্রশ্ন, একজনের পক্ষে কি এত আঘাত চিহ্ন দেওয়া সম্ভব? এই প্রশ্ন তুলেছেন আর জি কর মেডিকেল হাসপাতালে আন্দোলনকারী মেডিকেল পড়ুয়া ও চিকিৎসকেরা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃতার দেহে রয়েছে ১১টিরও বেশি ক্ষতের চিহ্ন। এর পাশাপাশি চোখ ও মুখ থেকে রক্তপাতের প্রমাণ মিলেছে। বাম পা, পেট, হাত ও ঘাড় সহ একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের এক চিকিৎসক বলছেন, “অপরাধের ধরন এবং একাধিক আঘাতের চিহ্ন থেকে পরিষ্কার তরুণীর উপরে দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতন চালানো হয়েছিল।”

তার কথায়, “সে ক্ষেত্রে তরুণী স্বাভাবিক ভাবে চিৎকার চেঁচামেচি বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এক জন এই ঘটনা ঘটালে তরুণী হয়তো চিৎকার করতে সক্ষম হতেন। কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি। তাই একাধিক জন জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে।” এক চিকিৎসক বলছেন, “গলা এবং বুক, দু’জায়গায় জোরে চেপে ধরার প্রমাণ মিলেছে। এটা নিয়ে যথেষ্ট খটকা আছে।”

তার কথায়, “কারণ, শ্বাসরোধ করে কাউকে মারতে হলে দু’টি হাতেরই প্রয়োজন। আবার দু’হাত দিয়ে শ্বাসরোধ করলে বুকের উপরে ওই পরিমাণ চাপ দেওয়া খুব কঠিন। যদি অনেকটা সময় ধরে অত্যাচার চলত, তা-ও না হয় কথা ছিল। কিন্তু এখানে যে সময়টা বলা হচ্ছে, তাতে এতগুলি জায়গায় আঘাত করা কী ভাবে সম্ভব, চিকিৎসক হিসাবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।”

ফরেনসিক মেডিসিনের এক প্রবীণ চিকিৎসকের কথায়, ” একজন জড়িত থাকলে দেহে এতগুলি আঘারে চিহ্ন থাকার কথা নয়৷ একাধিক আঘাত থাকলেও তা দুই থেকে তিনটি জায়গায় থাকার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে মুখ থেকে পা পর্যন্ত সর্বত্র গভীর ক্ষতের প্রমাণ মিলেছে। ৩৫ মিনিটের মধ্যে এত জায়গায় এতগুলি আঘাত ও একাধিকবার ধর্ষণ থেকে নানা সংশয় দেখা দিচ্ছে।”

আরও পড়ুন,
*খুব শীঘ্রই ফিরছি, দেশ ছাড়ার পর প্রথম বার্তা শেখ হাসিনা, আমেরিকার বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ