বাংলা ছবির জগতে এক নক্ষত্রের পতন। প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি অভিনেতা ও নাট্যকার মনোজ মিত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তার মৃত্যুতে শোকস্তদ্ধ গোটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। চোখের জলে ভাসছেন তার কাছে মানুষেরা। তাদের মধ্যে কেউ তার বন্ধুসম, কেউ সহকর্মী, কেউ ছাত্রসম। বাংলা ছবির জগতে এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার মৃত্যুর কথা শুনে কেঁপে ওঠে বাংলার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের গলা।
সংবাদমাধ্যমের তরফে তাকে জিগ্যেস করা হলে তিনি জানান, “এখন এক এক করে চলে যাওয়ারই দিন। একজন খুব গুণী মানুষ চলে গেলেন। কিছুই বলার নেই। অনেকেই আমরা চলে যাব ঠিকই। তবে ওর বিষয় একটা কথাই বলা যায়, সর্বগুণ সম্পন্ন। মানুষ হিসেবে বলুন, অভিনেতা হিসেবে বলুন, তার তুলনা নেই। আমি ওর সঙ্গে অভিনয় করেছি। মঞ্চে কাজ করেছি। ছবি করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “ওর মতো অভিনেতার মৃত্যু হওয়া মানে আমাদের অনেক ক্ষতি। কালই আমি ওর বিষয় আলোচনা করছিলাম। ওর সঙ্গে আমি আমেরিকা ট্যুরও করেছি। আমি ওর নাটকের সঙ্গে বেশি জড়িত ছিলাম। আমি ওর অনেক নাটক দেখেছি। আমি সেই কাজগুলো করে যে আনন্দ পেয়েছিলাম, এত আনন্দ আমি কখনও পাইনি।”
তার কথায়, “একজন ভাল শিল্পীর সঙ্গে যদি কাজ করা যায়, তার থেকে আনন্দের কিছুই হতে পারে না। সহ-অভিনেতা যদি ভাল হন, তার থেকে সুখের আর কিছু হয় না। আমরা সবাই চলে যাব, কেউ তো আর থাকব না।” ভারত স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন মনোজ মিত্রের পরিবার। তিনি থিয়েটার করতেন তা তার বাবার পছন্দ ছিল না। কলকাতা স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি।
একদিকে যেমন অধ্যাপনা করার শখ ছিল তেমনই আরেকদিকে থিয়েটার করতে ভালোবাসতেন। তাই তিনি চেয়েছিলেন কলকাতার কাছে এমন এক জায়গায় থাকতে যেখানে থেকে থিয়েটার ও অধ্যাপনা দুই করা যাবে। পরবর্তীকালে বাংলা ছবির জগতে এক উজ্জ্বল নাম হয়ে রইল মনোজ মিত্র।