‘দুঃখিত কিন্তু অনুতপ্ত নন’, স্ত্রীকে খুন করে বললেন গুরুপা জিরোলি

'Sorry but not remorseful', said Gurupa Giroli after killing his wife

স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। ওই বন্ধুর সঙ্গে পালাতেও চেয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু সেইসময় সামনেই ছিল মেয়ের বোর্ডের পরীক্ষা। স্ত্রী-কে এই কাজগুলি মেয়ের পরীক্ষার কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখতে বলেন স্বামী। কিন্তু তার কোনো কথা শোনেননি স্ত্রী। স্ত্রী অশান্তি করেন। সংসার করতে চাননি তিনি৷ এরপর সেই রাগে স্ত্রীকে খুন করেন স্বামী। মৃত স্ত্রী-র পাশে বসে ভিডিও করেন স্বামী এবং সেই ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে দেন।

এরপরই গোটা এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের রাজকোটে। অভিযুক্ত স্বামী জানিয়েছেন, তিনি স্ত্রী-কে খুন করার জন্য দুঃখিত কিন্তু অনুতপ্ত নন। জানা যাচ্ছে, মৃত স্ত্রী-এর নাম অম্বিকা। তার স্বামী হলেন গুরুপা জিরোলি। জিরোলি নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তিনি মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী-কে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করেন৷ স্ত্রী ঘটনাস্থলে মারা যান।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির দুই সন্তান। একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। মেয়ের বয়স ১৭ বছর ও ছেলের ১০ বছর। জিরোলি নামক ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন তার বন্ধুর সঙ্গে পরকীয়াতে জড়িয়েছিলেন তার স্ত্রী অম্বিকা। এটি স্বামী হয়ে তিনি মানতে পারেননি৷ এর পাশাপাশি তার স্ত্রী বন্ধুর সঙ্গে পালাতে চেয়েছিলেন। এদিকে সামনেই মেয়ের বোর্ডের পরীক্ষা আসন্ন।

তাই জিরোলি তার স্ত্রী-কে জানান, মেয়ের পরীক্ষা মিটে গেলে তারা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। স্ত্রী চাইলে তারা বিবাহবিচ্ছেদ করবেন। কিন্তু স্ত্রী কোনো কথা শুনতে নারাজ ছিলেন। এরপরই রাগে স্ত্রী-কে মেরে ফেলেন ওই ব্যক্তি৷ মৃত স্ত্রী-র পাশে বসে ভিডিও করে সেই ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে দেন তিনি। তারা যে আবাসনে থাকেন সেই আবাসনের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে।

সেই গ্রুপেই ভিডিওটি শেয়ার করেন ওই ব্যক্তি। এরপর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জিরোলি নিজেই পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত ২টো নাগাদ দম্পতির অশান্তি চরমে ওঠে। এরপরই স্বামী তার স্ত্রী-এর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে। এদিকে জিরোলি জানান, তার বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রী-এর সম্পর্ক নিয়ে তিনি বারবার সরব হলেও কোনো লাভ হয়নি। তাই স্ত্রী-কে খুন করে তিনি অনুতপ্ত নন।

জিরোলি জানান, পুলিশ এলে যেনো তাকে হাতে হাতকড়া না পরায় কারণ তিনি দাগী আসামি নন। পুলিশ অপেক্ষা করছিল মৃতার বাড়ির লোক এফআইআর করলে তারপর তারা অপরাধীকে আটক করবে। মৃতার পরিবার এফআইআর করার পর পুলিশ জিরোলিকে গ্রেফতার করে। এর পাশাপাশি প্রতিবেশীসহ ওই দম্পতির পরিচিতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।