এদিন বুধবার নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন শুভাংশু শুক্লা সহ চার নভশ্চর। এদিন ১২টা ১ মিনিটে চার নভশ্চরকে নিয়ে মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। এদিন আমেরিকার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন চার নভশ্চর। ২০০ কিলোমিটার দূর থেকে ৭.৫ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড বেগে পৃথিবীর চারদিকে আপাতত প্রদক্ষিণ করছে মহাকাশযান ‘ড্রাগন’।
এদিন মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন শুভাংশু। তিনি জানালেন, “দারুণ সফর”। ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন উচ্ছ্বসিত হয়ে জানালেন, “সকল দেশবাসীকে নমস্কার। অসাধারণ সফর ছিল! ৪১ বছর পর ভারত আবার মহাকাশে পা রাখল। এই মুহূর্তে আমরা সেকেন্ডে ৭.৫ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছি। আমার কাঁধে ভারতের তেরঙা পতাকা রয়েছে। এই পতাকাই আমাকে বলে দিচ্ছে যে আমি আপনাদের সঙ্গেই রয়েছি!”
এছাড়াও শুভাংশু জানিয়েছেন, এই যাত্রাই শেষ নয়, বরং নতুন শুরু। এই অভিযান আগামী দিনে ভারতের গগনযান অভিযানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে বলেও জানান শুভাংশু। শুভাংশুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “শুভাংশু শুক্লাই প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী যিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পা রাখবেন। তিনি নিজের কাঁধে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ইচ্ছা, আশা, আকাঙ্ক্ষার ভার বহন করছেন।”
দীর্ঘ ৪১ বছর ভারত মহাকাশে পা রাখেনি। ১৯৮৪ সালে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন রাকেশ শর্মা। এর মাঝে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ চার দশক। ভারত থেকে কেউই মহাকাশে আর যায়নি। এবার দীর্ঘ ৪১ বছর পর ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা যাত্রা শুরু করলেন মহাকাশের উদ্দেশ্যে। এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাসার প্রাক্তন নভশ্চর তথা অ্যাক্সিয়ম স্পেসের মানব মহাকাশযানের ডিরেক্টর রেগি হুইটসন।
এছাড়া শুভাংশু শুক্লা ছাড়াও রয়েছেন পোল্যান্ডের স্লায়োস উজ়নানস্কি-উইসনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু। ১৪ দিনের মহাকাশ যাত্রা করার আগে চার নভশ্চরকে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ। এর পাশাপাশি মহাকাশে যাওয়ার আগে যাতে কোনোরকম সংক্রমণ তাদের দেহে না ছড়ায় তার জন্য গত ১ মাস ধরে চারজন নভশ্চরকে কাটাতে হয়েছে কোয়ারান্টাইনে। আগামী ১৪ দিন মহাকাশের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন চার নভশ্চর।