The Legend of Maula Jatt: আদেশ পেল না। এ রাষ্ট্রে নিষ্কৃতি পাচ্ছে না পাকিস্তানি সিনেমা “দ্য লিজেন্ডার অফ মাওলানা জাট”। পাকা তারকা ফাওয়াদ খান ও মাহিরা খান প্রদর্শনে পাকিস্তানি সিনেমা “দ্য লিজেন্ড অফ মাওলানা জাট”, ২ অক্টোবর এই রাষ্ট্রে নিষ্কৃতি পাওয়ার কথা ছিল। তবে রাজি নয়, সর্বশেষ এই সিনেমাতে এই রাষ্ট্রের রঙ্গমঞ্চে অভিনয়ের আদেশ দেওয়া হয়নি।
যদি ফাওয়াদ ও মাহিরা প্রদর্শনীত ” দ্য লিজেন্ড অফ মাওলানা জাট” এই রাষ্ট্রের নিষ্কৃতি পেত, তাহলে প্রায় ১ দশকের পর কোন পাকিস্তানি সিনেমা এই রাষ্ট্রে নিষ্কৃতি পেত। আর তার জন্য জি স্টুডিওকে এই সিনেমা এই রাষ্ট্রে অভিনয়ের জন্য বিভিন্ন রঙ্গমঞ্চে ভাগাভাগির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে না শেষ পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটছে না। আর এই পাক সিনেমাকে এই রাষ্ট্রে নিষ্কৃতি না দেওয়ার কারণ জানানো গেছে, ২০১৯ সাল থেকে পাকিস্তানের ভারতীয় সিনেমা দেখানো নিবারণ রয়েছে। আলোচনায়, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা দাঙ্গার পর ভারতে পাক শিল্পীদের কর্মও অবরোধ করা হয়েছে।
“দ্য লিজেন্ড অফ মাওলানা জাট” ২০২২ সালের সিনেমা। যদিও ওই সময় সিনেমাটি এই রাষ্ট্রের নিষ্কৃতি পাইনি। কিছুদিন আগে এই পাকিস্তানি সিনেমা রচিত সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে বলেছিলেন, দুই বৎসর পার করেও লিজেন্ড অফ মওলা জাটকে এখনো স্তব্ধ করা যাচ্ছে না। ২০২৪ সালের ২রা অক্টোবর ভারতের বৃহৎ পর্দায় এই পৌরাণিক কাহিনীর প্রত্যক্ষকারী থাকুন।” তবে না তেমন ঘটনা ঘটছে না।
আলোচনায় পাকিস্তানের এই সিনেমার নিষ্কৃতির বিপক্ষ করেছেন এই রাষ্ট্রের বহু রাজনৈতিক গোষ্ঠী। এর পূর্বে মহারাষ্ট্রে তথা মুম্বাইতেও পাক সিনেমার নিষ্কৃতি নিয়ে কঠিন নির্দেশ ঘোষণা করেছিলেন এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকুরে। পরিষ্কারভাবে বলেছেন, “আমাদের কর্তব্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া। এটা দেখা যে এই ছবিটি আমাদের রাষ্ট্রের যেন নিষ্কৃতি না পায়। এটা ভুললে চলবে না, অভিনয় মঞ্চস্থ কর্তারা মারাঠি সিনেমার অভিনয় মঞ্চে ঢোকাতে ইচ্ছুক নয় তারা যদি পাকিস্তানি ছবিকে এই ভূখণ্ডে প্রবেশ করায়, তাহলে তার দাম চুকাতে হবে।
আলোচ্য বিষয়, ২০২২ সালে অক্টোবর মাসে “দ্য লিজেন্ড অফ মাওলা জট” পাকিস্তানের নিষ্কৃতি পায়। এটা তখন থেকে দক্ষিণ এশিয়ায়র ছবির একটা ঐতিহাসিক সিনেমা হিসাবে সামাদের প্রাপ্ত হয়। এই সিনেমাটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রোজগার পাকিস্তানি এবং পাঞ্জাবি ভাষার সিনেমা হিসেবে নিজের নথি ধরে রেখেছে। এই পাক সিনেমাটি অভিনয় করেছেন, ফাওয়াদ খান, মাহিরা খান, হামজা আলি আব্বাসী ও হুমাইয়া মালিক।