গত কয়েকদিন ধরে চলছে একনাগাড়ে বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টির জেরে নাকাল দশা চারিদিকে। জলমগ্ন রাস্তাঘাট, পুকুরে জলের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি সমুদ্রেও জলস্তর বেড়েছে অনেকটাই। এর পাশাপাশি কোপাই নদীতে জলের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে কোপাই। কিছুদিন আগে যেই নদীতে জলের ক্ষীণ ধারা বয়ে চলেছিল সেই নদী এখন ফুলেফেঁপে উঠেছে।
কোপাই নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আশেপাশের অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। কোপাই নদীর জল এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে গোয়ালপাড়া সেতুর উপর দিয়ে জল বইছে। এর পাশাপাশি কোপাই নদী সংলগ্ন কঙ্কালীতলার শক্তিপীঠ মন্দিরও ভেসে গিয়েছে জলে। তাই পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ার জন্য কোনোরকম কাজকর্ম করা সম্ভব হচ্ছে না। পুজো সংক্রান্ত কোনো কাজ করা যাবে না মন্দিরে।
অবিরাম বৃষ্টির ফলে কোপাই নদীতে যেমন জল বেড়েছে তেমনই আশেপাশের গ্রামে ঢুকে পড়েছে জল। চাষ করা জমিতে জল ঢুকে কৃষিজমির ক্ষতি করছে। এদিকে কোপাই নদীর জল গোয়ালপাড়া সেতুর উপরে উঠে গিয়েছে। শান্তিনিকেতন থেকে কসবা হয়ে পাড়ুই যাওয়ার জন্য সেখানকার গ্রামবাসীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো গোয়ালপাড়া সেতু। সেখানকার বাসিন্দারা এই সেতুর সাহায্যে বোলপুর যাতায়াত করেন।
কিন্তু এবারের বৃষ্টিতে সেতুতে জল ঢুকে পড়েছে। সেখানকার গ্রামবাসীদের বক্তব্য, প্রতিবছর বর্ষার সময় কোপাই নদীতে জল বাড়লে সেতুটি ডুবে যায়। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কিছুদিন আগে বৃষ্টিতে সেতুটি জলের তলায় চলে গিয়েছিল। প্রতি বছর বৃষ্টি হলে সেতুটি আর ব্যবহারের উপযোগী থাকে না। তা সত্ত্বেও প্রশাসন এই বিষয়ে কোনো চিন্তাভাবনা করেনি বলে অভিযোগ সেখানকার গ্রামবাসীর।
সেতুটির উচ্চতা বৃদ্ধি বা অন্য কোনো ব্যবস্থা প্রশাসনের তরফে গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। কোপাইতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জলে ডুবে গিয়েছে কঙ্কালীতলা মন্দির সংলগ্ন এলাকা। আর এই কারণে মন্দিরে পুজো দিতে পারছেন না সেখানকার ভক্তরা। এদিকে প্রশাসন মন্দির সংলগ্ন জল বের করার চেষ্টা করলেন কোপাইতে জল না কমলে এই পরিস্থিতির কোনো সুরাহা হবে বলে মনে করছেন না কেউ।
এদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে ক্রমশ ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর ছত্তীসগঢ়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর ফলে কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে চলবে বৃষ্টি।
আরও পড়ুন,
*কর্মজীবনে এই পাঁচটি ত্রুটি এড়িয়ে চলুন, বৃদ্ধ বয়সে টাকার সমস্যা হবে না