অদম্য ইচ্ছেশক্তির মাধ্যমে ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা নিয়েও পা দিয়ে লিখে উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্যলাভ মুর্শিদাবাদের আলমের। ছোটো থেকে তার ঘাড় সোজা হয় না, হাতেও তেমন জোর পায়না সে। বাধ্য হয়ে পা দিয়েই লিখতে হয় তাকে। একইসাথে রয়েছে আর্থিক সমস্যা।
তবে হাজারো প্রতিকূলতা পেরিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে সফল হয়েছে মুর্শিদাবাদের ‘কান্দি রাজ হাই স্কুল’এর আলম রহমান। ৫০০’এর মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪০২। কান্দি মহকুমার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আলম। তার বাবার ছোট্ট মুদির দোকান রয়েছে, মা গৃহবধূ।
ছোটো থেকেই তার দেখভালের দায়িত্ব তার মায়ের উপরে। সাথে দুই বোনও সাহায্য করে। তবে ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নিজেকে কখনো অন্যদের থেকে আলাদা মনে করেনি আলম। তাইতো কোনো বিশেষ স্কুল নয় বরং সাধারণ স্কুলে পড়াশোনা করেছে সে।
মাধ্যমিকে তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬২৫। তখন যদিও রাইটারের সাহায্য নিয়েছিল সে, তবে এবার পা দিয়ে লিখেই ৪০২। এই বিষয়ে সে বলে, ‘পড়তে ভালো লাগে। তাই সারা বছরই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে হাড়ে ব্যথার জন্য টানা পড়তে পারতাম না। বিশ্রাম নিয়ে নিয়েই পড়তাম।”
বড়ো হয়ে কী হতে চায় সে? তার মতে, ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আগ্রহ থাকলেও পড়াশোনার জন্য অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহারেরও প্রয়োজন হবে। বাকিদের মতো তো আমি সে সব পারবো না। আমি বিজ্ঞানের যে কোনো বিষয়ে স্নাতক হয়ে ডব্লিউবিসিএস অফিসার হতে চাই। সুযোগ পেলে ইচ্ছে রয়েছে সর্বভারতীয় স্তরের ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ারও।’
আরও পড়ুন,
*অক্ষয় তৃতীয়া, আজ থেকেই কপাল খুলবে ৩ রাশির
*মুড সুইং হচ্ছে? পেছনে রয়েছে কোন কারন