Mimicry artist: আমাদের আশেপাশে এমন অনেকে রয়েছেন যারা অন্য মানুষকে দুর্দান্ত নকল করতে পারেন। সম্প্রতি তেমন একজনকে দেখা গিয়েছে যিনি মিমিক্রি করে পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন। কিন্তু একশোর গন্ডিতে প্রবেশ করা মানুষকে নকল করাও খুব সহজ কাজ নয়৷ কিন্তু সেই অসাধ্য সাধন করে সকলকে চমক দিলেন মালদার অভিষেক সাহা। আর এর কারণে তিনি পেয়েছেন একাধিক পুরষ্কার। তার ঝুলিতে এখন রয়েছে ইন্ডিয়া’স ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’সহ একাধিক পুরষ্কার।
আর এই পুরষ্কার পাওয়ার পর বেশ উচ্ছসিত অভিষেক। ২০২৩ সালে তার কাছে প্রথম একটি সুযোগ আসে। সেই অনুষ্ঠানের পর অভিষেকের জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তিন ঘন্টার ওই অনুষ্ঠান তার জীবনের বদল আনতে অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী। জানা যাচ্ছে, অভিষেক একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। তিন ঘন্টার অনুষ্ঠানের পর তিনি জিতে নেন ন্যাশানাল অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড।
এরপর শুরু হয় তার এই কাজ। ভালোবেসেই সেই কাজ করতেন তিনি৷ জনপ্রিয় অভিনেতা, রাজনীতিবিদ এবং ক্রিকেটারদের কণ্ঠও নকল করতেও রীতিমত পারদর্শী অভিষেক। তিনি কলেজে পড়ার সময়ও এই কান্ড ঘটিয়েছেন। মিমিক্রি নিয়ে জীবনে কিছু করার ইচ্ছে থাকলেও তা করতে পারেননি তিনি। মনের ইচ্ছে মনেই রয়ে গিয়েছিল তার।
কিন্তু হঠাৎ করেই তার সেই অনুষ্ঠান সকলের কাছে প্রশংসিত হবে এবং জনপ্রিয় হবেন তিনি তা ঘুনাক্ষরেও ভাবেননি। অভিষেক বেথানি মিশন স্কুল রায়গঞ্জ থেকে মাধ্যমিক, মালদা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি টপকে বায়োটেকনোলজিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তার পরিবারে রয়েছে বাবা, মা, বোন, স্ত্রী ও মেয়ে।
অভিষেক জানিয়েছেন, তার মেয়ে তাকে এই কাজ করার জন্য উৎসাহ দিত। এরপর মেলে সাফল্য। জানা যাচ্ছে, অভিষেক আগামী দিনে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগোতে চান। ৯২ জন গায়কের গলা নকল করে তিনি জিতে নিয়েছেন ইণ্ডিয়া’স ওয়ার্ল্ড রেকর্ড-এর খেতাব। এর পাশাপাশি তার রয়েছে গান গাওয়ার নেশা৷ আগামীতে প্লেব্যাক সিঙৃগার হিসেবে ও গানের ক্যাটাগরিতে মিমিক্রি আর্টিস হিসেবে দেখতে চান তিনি।