৫ প্রকার পানীয়: এই ভাবে খেতে পারলেই ত্বক হয়ে উঠবে রাই সুন্দরীর মত নিখুঁত

৫ প্রকার পানীয়: এই ভাবে খেতে পারলেই ত্বক হয়ে উঠবে রাই সুন্দরীর মত নিখুঁত

আমাদের বয়স বাড়লেই তার ছাপ পড়ে যায় চোখ-মুখে। ধীরে ধীরে ত্বক জেল্লাহীন হয়ে পড়ে। এই বছর পঞ্চাশে পা দিয়েছেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। আগের চেয়ে ঈষৎ ভারী হয়েছেন বটে, তবে বয়সের ছাপ কিন্তু এতটুকুও চোখে-মুখে পড়তে দেননি তিনি। কি ভাবছেন? তার জন্য প্রচুর খরচ করতে হয়? তা কিন্তু একেবারেই নয়। মাত্র কয়েকটি পানীয় একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে পারলেই ত্বকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভাব।

বড় পর্দায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে শেষ দেখা গিয়েছিল পোন্নিয়িন সেলভান ২ ছবিতে। এর পর তিনি অনুরাগীদের আর কোনো নতুন সুখবর দেননি প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। তবে বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর সঙ্গে অভিষেক বচ্চনের বিবাহ বিচ্ছেদের খবরে সমাজমাধ্যম সরগরম হয়ে উঠেছে। আঙুল থেকে বিয়ের আংটি খুলে ফেলা থেকে শুরু করে পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা এই ধরনের খবর বলে দিচ্ছে অন্দরমহলে সবকিছু ঠিকঠাক নেই।

আরও পড়ুন,
রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর নেবে আইআইটি খড়্গপুর, আবেদন কিভাবে করবেন?
*বৃষ্টি ভেজা দিনে মন ভালো থাকলেও শরীর ভালো রাখতে কি করবেন?

তবে ব্যক্তিগত জীবনে যত ঝড় তুফান বয়ে যাক না কেন, তার কোনো প্রভাব চেহারায় আসতে দেননি রাই সুন্দরী। ত্বকে রাই সুন্দরী মতো জেল্লা পেতে বা বয়স ধরে রাখতে যে সব সময়ে প্রচুর খরচ করতে হয়, তা কিন্তু নয়। শুধুমাত্র কয়েকটি পানীয় খেলেই ঐশ্বর্যার মতো উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যাবে।

১) তরমুজ এবং আঙুর
তরমুজে মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এ ছাড়া, এই ফলে জলের পরিমাণটাও অনেকটাই বেশি। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখাতে ব্যাপক কার্যকরী তরমুজ। এমনিতে সাইট্রাস জাতীয় ফল আঙুর। আর তা ছাড়া, আঙুরে রয়েছে পটাশিয়াম। ত্বকের কোষ বিভাজনে এই উপাদান সাহায্য করে।

২) কাঠবাদাম এবং বিট
বিট এবং কাঠাবাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বককে টক্সিন মুক্ত রাখে। পাশপাশি এর মধ্যে যে পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে, তা ত্বকের পেলবতা বজায় রাখতেও দারুন সাহাস্য করে।

৩) আপেল এবং গাজর
রোদ থেকে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তা রুখে দিতে পারে গাজর। গাজরে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। যা শরীরে প্রবেশ করার পর তা ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। এই ভিটামিন ত্বকের জন্য বেশ ভাল। পাশাপাশি আপেলে যে সব ভিটামিন রয়েছে, তা গভীর থেকে ত্বককে পরিষ্কার করে রাখতে সাহায্য করে থাকে।

৪) পালং শাক এবং পেঁপে
যে উৎসেচকগুলি পেঁপের মধ্যে রয়েছে, তা মৃতকোষের সমস্যা দূর করতে সক্ষম। তা-ছাড়া, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফল, বলিরেখা এবং ত্বকের কালচে দাগ-ছোপের উপরেও অসাধারন কাজ করে। এর সঙ্গে যদি সামান্য পরিমানে পালং মিশিয়ে নিতে পারেন। তাহলে তো একেবারে সোনায় সোহাগা।

৫) কমলালেবু এবং বেদনা
ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ভিটামিন ই। বেদানায় যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাই নিষ্প্রাণ ত্বককে তরতাজা করে তুলতে বেদানা আর কমলালেবু দারুণ উপকারী।

আরও পড়ুন,
*বছরের শেষে আইনি জটিলতায় কৃতি শ্যানন, কিন্তু কেন?