হাজারো বিরোধিতা এবং বিতর্ক পেরিয়ে সোমবার ১লা জুলাই থেকে চালু হতে চলেছে ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটি ফৌজদারি আইন। এই আইন নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি বিরোধীমহলে। এমনকি রাস্তায় নেমে চলেছে বিরোধিতা।
তবে শেষমেষ দুই কক্ষেই পাশ হয়ে যায় এই বিল এবং তাতে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ভারতীয় বিধানে ন্যায়দণ্ডের কাছে সবাইকে সমান চোখে দেখার কথা বলা রয়েছে। আর এবার নতুন তিন আইন দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে নতুন ন্যায়‘দণ্ড’।
ফলস্বরূপ ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’এর পরিবর্তে হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ নতুন রূপ ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ১৮৭২ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’এর বদলে আসছে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’।
যদিও নতুন আইনে কোন কোন অপরাধ এবং তার কী শাস্তি বলা হয়েছে তা নিয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে শোনা যাচ্ছে ন্যায়সংহিতায় ২০টি অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে আর সেখান থেকে ১৯ টি পুরনো বিধান বাদ পড়েছে। ৩৩ টি অপরাধের জন্য কারাদণ্ডের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
৮৩ টি অপরাধের জন্য জরিমানার পরিমাণও বেড়েছে। এমনকি ২৩ টি এমন অপরাধ রয়েছে যার জন্য সর্বনিম্ন শাস্তির কথা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশেষ করে নারী সুরক্ষা এবং নারীদের নিয়ে ঘটা অপরাধের শাস্তি আরও কঠোর করা হয়েছে।