Vastu: বালিশের নীচে কোন জিনিস রাখলে মিলবে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি: বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ টোটকা

Vastu shastra: মানুষের জীবন নানা সমস্যা, মানসিক অশান্তি, আর্থিক বাধা এবং অদৃশ্য ভয়–এই সবকিছুর মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলে। ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়, অনেক সমস্যা পরিবেশগত শক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকে। সঠিক উপাদান এবং পদ্ধতি ব্যবহার করলে জীবনের চারপাশে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং নেতিবাচক প্রভাব কমে যায়। ঘুম মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়; তাই শোয়ার আগে কিছু নির্দিষ্ট বস্তু বালিশের নীচে রাখলে সৌভাগ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি বাড়ে—এমনটাই জনপ্রিয় বিশ্বাস।

নীচে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী কোন বস্তু বালিশের নীচে রাখলে কী উপকার পাওয়া যায়, তা বিশদে আলোচনা করা হলো।

তুলসী পাতা: মানসিক শান্তি ও আর্থিক স্থিতি

basil leaves
তুলসীপাতা

বাস্তুশাস্ত্রে তুলসীকে শুদ্ধতার প্রতীক এবং দেবী লক্ষ্মীর উপস্থিতির প্রতিফলন বলে মনে করা হয়। বাড়ির তুলসী গাছে শুভশক্তি সক্রিয় থাকে বলে বিশ্বাস।
বলা হয়—
*রাতে ঘুমানোর আগে বালিশের নীচে কয়েকটি শুকনো তুলসী পাতা রাখলে মানসিক শান্তি বাড়ে।
*ভয় দূর হয় এবং মন স্থির থাকে।
*আর্থিক সমস্যা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে বলে ধরা হয়।
এই টোটকা দীর্ঘকাল ধরে লোকবিশ্বাসের অংশ।

রুপোর মুদ্রা: মানসিক চাপ কমায় ও শক্তি ধরে রাখে
রুপোকে বাস্তুশাস্ত্রে অত্যন্ত পবিত্র ধাতু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি চাঁদের শক্তির প্রতীক, যা মস্তিষ্ক, আবেগ ও মনকে প্রভাবিত করে।
বিশ্বাস করা হয়—
*বালিশের নীচে রুপোর মুদ্রা রেখে ঘুমালে মানসিক চাপ কমে।
*শক্তির অপচয় বন্ধ হয়, মন স্থিতিশীল থাকে।
*অর্থের সঠিক ব্যবহার এবং আর্থিক বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
এটি সমৃদ্ধি বাড়ানোর একটি জনপ্রিয় প্রতিকার।

ময়ূরের পালক: অশুভ শক্তি দূর করে সৌভাগ্য আনে
ময়ূরের পালক বহুদিন ধরেই সুরক্ষা ও শুভশক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী—
*বালিশের নীচে ময়ূরের পালক রাখলে অশুভ শক্তি ও নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়।
*বাধা কমে, সাফল্যের পথ সহজ হয়।
*সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায় এবং আর্থিক সমস্যা কমতে শুরু করে।
এটি অনেকের কাছে অত্যন্ত কার্যকর প্রতিকার।

আরও পড়ুন
Vastu: ভাগ্যের চাকা ঘুরবে! বাড়ির এই দিকে ঝুলিয়ে রাখুন ‘শ্রী কৃষ্ণের’ প্ৰিয় ময়ূরের পালক

হলুদ: সমৃদ্ধি ও লক্ষ্মীর কৃপা বজায় রাখে
হলুদ পবিত্রতা, স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। বাড়ির পূজা-অর্চনায় হলুদের ব্যবহার দীর্ঘদিনের।
বাস্তুমতে—
*শোয়ার আগে কাগজে সামান্য হলুদ মুড়ে বালিশের নীচে রাখলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়।
*বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে।
*জীবন স্থিতিশীল হয় ও নতুন সুযোগ আসে।
এটি সমৃদ্ধির একটি ঐতিহ্যবাহী টোটকা।

আরও পড়ুন
৮ ডিসেম্বরের রাশিফল: কার ভাগ্যে সাফল্য, কার জীবনে সতর্কতার বার্তা

তেজপাতা: খারাপ স্বপ্ন ও নজর থেকে সুরক্ষা
তেজপাতা বহুদিন থেকেই সুরক্ষা ও মানসিক শান্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়—
*তেজপাতার উপর ‘ওম শীম’ মন্ত্র লিখে বালিশের নীচে রাখলে দুঃস্বপ্ন দূর হয়।
*নেতিবাচক চিন্তা ও কুভাবনা দূরে থাকে।
*অনিদ্রা কমে, ঘুমের মান ভালো হয়।
*খারাপ নজর বা অশুভ দৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অনেকের মতে এটি অত্যন্ত কার্যকর প্রতিকার।

আরও পড়ুন
রাহুর মহাদশা সবসময় অশুভ নয়: চার রাশি পান বিশেষ শুভফল

সারসংক্ষেপ
বাস্তুশাস্ত্র ও লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু প্রাকৃতিক উপাদান বালিশের নীচে রাখলে জীবনে শুভ শক্তি বৃদ্ধি পায়, মানসিক শান্তি বজায় থাকে এবং সমৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়ে। যদিও এগুলোর বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবুও এগুলো বহু মানুষ বিশ্বাসের সঙ্গে অনুসরণ করেন এবং আত্মিক শান্তি পান।

আরও পড়ুন
ওজন কমছে না? জ্যোতিষ মতে এই তিন গ্রহই দায়ী হতে পারে, জানুন প্রতিকার

শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক