বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে ঘিরে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সোমবার পবনহংস শ্মশানের বাইরে অভাবনীয় ভিড়। নীরবেই সম্পন্ন হয়ে গেল অভিনেতার অন্ত্যোষ্টি, আর সেই নীরব বিদায় নিয়েই ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন তাঁর অনুরাগীরা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ জুহুর বাসভবন থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মেন্দ্রের নিথর দেহ। উপস্থিত ছিলেন দেওল পরিবারের সদস্যরা এবং বলিউডের কয়েকজন তারকা। বেলা ২টার আগেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন সানি, ববি এবং ঈশা দেওলরা। কিন্তু পরিবারের এই নীরবতা, ‘শেষবার দেখতে’ না-পাওয়া—সব মিলিয়ে ভক্তদের মধ্যে অসন্তোষ ধেয়ে আসে ঢেউয়ের মতো।
শ্মশানের গেটের সামনে মুহূর্তে জমে যায় হাজারো মানুষের ভিড়। কারও চোখে জল, কারও গলায় ক্ষোভ—“একবার জানালে আমরা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারতাম।” এক মহিলা অনুরাগী কান্নাজড়িত গলায় পুলিশের কাছে অনুরোধ জানান, তাঁকে যেন একবার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। তাঁর দাবি, তিনি ধর্মেন্দ্রের উদ্দেশে টাকা পোড়াতে চান, সেটাই তাঁর শেষ সম্মান।
শুধু সাধারণ ভক্তই নন, উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন সন্ন্যাসীও। তাঁদেরও একই অভিযোগ—“এত বড় মাপের তারকা! অথচ নীরবে সবকিছু শেষ করে দেওয়া হলো! এটা মানতে পারছি না।”
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১১ তারিখে প্রথমবার অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সানি দেওল ও ঈশা দেওল। যদিও ২৪ নভেম্বর চুপিসারে শেষকৃত্য সম্পন্ন করায় নতুন করে প্রশ্ন উঠছে—কেন এত গোপনীয়তা?
আরও পড়ুন,

শেষ সম্মান জানাতে না পারার আক্ষেপে দিনভর উত্তাল ছিল শ্মশান চত্বর। ধর্মেন্দ্রের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যে এখনও তীব্র—সোমবারের দৃশ্যই যেন তার প্রমাণ।
