রাতে অনেকেই নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেয়ে থাকেন। পরন্তু এটা ভালো কথা নয়। বরঞ্চ পরিবর্তন নিয়ে আসুন জীবনে। তাহলে সমস্যার সমাধান হবে। রাতে শয্যায় ঘন্টার পর ঘন্টা শুয়ে থাকলেও আঁখিতে নিদ্রা নেই? এই জটিল সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। ডাক্তারের ভাষায় একে বলা হয় ইনসোমেনিয়া বা নিদ্রাহীনতা।
শয্যায় বিশ্রাম নেওয়ার সময় মোবাইল ঘাটা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, বা কর্মের চাপ পরন্তু এই নিদ্রাহীনতার কারণ হতে পারে। তাই অনেকে রাতে নিদ্রা আনতে নিদ্রার ঔষধ সেবন করে। তবে এটা মোটেই ভালো নয়। পড়ন্তু পরিবর্তন আনুন জীবনে।
অপরাহ্নের পর কফি নয়, অতিরিক্ত কফি পান করলে ঘুমের বাধা সৃষ্টি করে। তাই যদি আপনিও নিদ্রাহীনতায় ভোগেন, তাহলে আপনার জীবন থেকে অপরাহ্নের পর কফি বাতিল করুন। নিদ্রা থেকে উঠে বা প্রাতঃরাশে সাথে কপি পান করতে পারেন। অপরাহ্নে শরীরক্রীড়াঙ্গন নয়, প্রতিদিন বিকেলে শরীর চর্চা করলে ভালো নিদ্রা হতে পারে। তবে বাড়িতে শরীরক্রীড়াঙ্গন করুন, জিমে যাওয়া বা সাঁতার কাটা অভ্যস্ত হলে সকালের দিকে করুন। পরিশ্রান্ত দেহ নিয়ে শরীরচর্চায় গেলে দেহ আরো খারাপ হতে পারে।
যার পরিনতি পড়বে নিদ্রার উপরে। মদ্যপান করলে নিদ্রাহীনতার কিছুটা সমস্যা সমাধান হতে পারে। তবে নেশা অত্যাধিক হয়ে গেলে ঘুমের বাধা সৃষ্টি হতে পারে। অল্প কিছুক্ষণ পরেই নিদ্রা ভঙ্গ হয়ে যায়। নিয়মিত ধ্যান করলে নিদ্রাহীনতার কার্যকরী ঔষধ। তবে ধ্যান কিন্তু অতটাও কঠিন ব্যাপার নয় । শয্যায় শুয়ে আস্তে আস্তে সারা দেহ শিথিল করুন। শ্বাস প্রশ্বাস ওঠা নামার দিকে মনোনিবেশ করুন। মস্তক হালকা হবে ও নিদ্রা আসবে।
আরও পড়ুন,
*কফি উইথ করণের বিতর্ক পাল্টে দিয়েছে কেএল রাহুলের জীবন! কেন বললেন, ‘ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম কারণ