প্রায় দুই সপ্তাহ কাটলেও এখনও পর্যন্ত জুবিন গার্গের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন জুবিন গার্গের স্ত্রী গরিমা শইকীয়া। ঠিক কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ওই সময়? গায়কের আপ্তসহায়কের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন গরিমা?
সিঙ্গাপুরে ‘নর্থইস্ট ফেস্টিভ্যাল’-এ যোগ দিতে গিয়েছিলেন জুবিন। কিন্তু, অনুষ্ঠান করার আগেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। তাঁর মৃত্যুর কারণে সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায় । ভেঙে পড়েন গায়কের কোটি কোটি অনুরাগীরা। শোকস্তব্ধ হয়ে পরে গোটা অসম। শিল্পীর মৃত্যুর পর ‘সিঙ্গাপুর পুলিশ ফোর্স’ গায়কের ময়নাতদন্তের যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে তাতে লেখা সাঁতার কাটতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে গায়ক জুবিন গার্গের।
কোনও রকম ষড়যন্ত্র অথবা রহস্যের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু, গায়কের স্ত্রীর দাবি, জুবিনকে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ভাবে একটি পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একাধিক জায়গায় ঘুরে ঘুরে অনুষ্ঠান করে ক্লান্ত হয়ে পড়া জুবিন গার্গকে জোর করে পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে সাঁতারও কাটতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এমনটাই দাবি গায়ক জুবিন গার্গের স্ত্রী গরিমার। তাঁর প্রশ্ন, সেখানে ম্যানেজার উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও জ়ুবিনের খেয়াল রাখা কেন হল না? আমাদের সাংস্কৃতিক আইকনকে হারালাম আমরা। ইতিপূর্বেই গায়কের আত্মসহায়ক সিদ্ধার্থ ও ‘নর্থইস্ট ফেস্টিভ্যাল’-অনুষ্ঠানের আয়োজক শ্যামকানু মহন্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জুবিন গার্গের স্ত্রী গরিমার কথায়, ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামীর সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। তখনও পর্যন্ত কোনও রকম কোনো পিকনিকের কথা উল্লেখ করেননি জুবিন। গরিমা কথায়, “সাধারণত দিনের বেলা ও ঘুমোত। হয়তো জোর করে নিয়ে গিয়েছিল। ওষুধও চলছিল ওঁর— জানি না সেটাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল কি না।” গরিমা আরও জানিয়েছেন, অনেক কিছুই হয়ে থাকতে পারে। স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মৃত্যু নয় এটা। তদন্ত চলছে। আমরা সকলেই জানতে চাই, আসলে কী হয়েছিল? আইনি ব্যবস্থায় ভরসা আছে গরিমার। অসমের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন এই বিষয়টা। তাই তিনি নিশ্চিত, খুব শীঘ্রই সুবিচার মিলবে।