সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করা তথ্য আদালতে আলোচনা করা যাবে না, তেমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়। আর.জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার শরীরে ১৫০ গ্রাম সিমেন মিলেছে। এমন তথ্যই ঘোরাফেরা করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বৃহস্পতিবার ছিল এই ঘটনার
শুনানি।
যেখানে এই ১৫০ গ্রাম সিমেনের প্রসঙ্গ তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তবে তা শুনে তীব্র ভর্ৎসনা করেন প্রধান বিচারপতি। সাথে পরিষ্কার জানিয়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কী আলোচনা হচ্ছে তার ভিত্তিতে আদালতে সওয়াল করা চলবে না। এদিন সুপ্রিমকোর্টে আর.জি কর কাণ্ডের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই।
এছাড়াও কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য সরকার রিপোর্ট জমা করেছে। সেখানে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের একের পর এক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয়েছেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল। এফআইআর করতে দেরী এবং এফআইআর দায়ের করার আগে ময়নাতদন্ত করিয়ে নেওয়ার মতোন একাধিক প্রশ্ন তুলেছে বেঞ্চ।
রাজ্যের আইনজীবী দাবী করেন তাদের কাছে টাইমলাইন রয়েছে। তবে তা শোনার পর বিস্মিত বিচারপতি জে পার্দিওয়ালা। তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের। ৩০ বছরের কেরিয়ারে দেখিনি।’ এক কথায় বলতে গেলে রাজ্যের দেওয়া টাইমলাইন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করে সুপ্রিমকোর্ট।
এরপরে সওয়াল করতে ওঠে সিবিআইয়ের আইনজীবী। বলেন নির্যাতিতার দেহে ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গিয়েছে। এরপরই তার মন্তব্যের বিরোধিতা করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট রয়েছে। ১৫০ গ্রাম বলতে কীসের ওজন বোঝানো হয়েছে সেটাও সকলেই জানি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা তথ্য নিয়ে আদালতে সওয়াল করতে আসবেন না।’
আরও পড়ুন,
*নবান্ন অভিযানে ‘রাজনৈতিক স্বার্থ’ পোস্টে ঘিরে বিতর্ক! পাল্টা কী জবাব স্বস্তিকার?