অম্বুবাচীর তিন দিন কী কী কাজ করা উচিত এবং কোনগুলি করা উচিত নয়? শাস্ত্রমতে আসল নিয়ম জানুন

আগামী ২২শে জুন অম্বুবাচীর প্রবৃত্তি এবং ২৫শে জুন অম্বুবাচীর নিবৃত্তি। অর্থাৎ আগামী রবিবার অম্বুবাচী তিথি শুরু হতে চলেছে। আর এই তিথি শেষ হতে চলেছে আগামী বুধবার। এই কয়েকটি দিন বেশ কিছু জিনিস মেনে চলতে হয়। এইসময় এমন অনেক কাজ, যা করা যায় না আবার কিছু কিছু কাজ যা করতে হয়। এই সময় ধরিত্রীমায়ের ঋতুমতী হওয়ার সময়। অর্থাৎ এই সময় দেবী রজঃস্বলা হওয়ার কারণে বিশ্রামে থাকেন।

এই দিন কামাখ্যা মন্দিরে মা কামাখ্যার নিয়ম করে যথেষ্ট আড়ম্বরের মধ্যে দিয়ে পুজো হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা মায়ের কাছে আসেন মন্দিরে। এই কয়েকটি দিন মন্দিরে পুজো দেওয়া বন্ধ থাকে। কারণ এইসময় দেবী বিশ্রাম করেন। আর তাই পুজো দেওয়া বন্ধ রাখা হয়। তবে অম্বুবাচীতে কিছু নিয়ম যা মেনে চলতে বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এমন বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে যা মেনে চলতে হয় এইসময়।

তাই এইসময় যে যে জিনিসগুলি করতে হয় এবং যেগুলি একেবারে করতে নেই তা জেনে নেওয়া যাক –

অম্বুবাচীর সময় কুমারি মেয়েদের উপহার দিন এবং তাদের পছন্দ মতন খাবার খাওয়ান।

অম্বুবাচী চলাকালীন খুব দরকার না হলে বাড়ি থেকে দূরে ভ্রমণ করবেন না।

এইসময় বাড়িতে থাকা সমস্ত দেবদেবীর মূর্তি লাল রংয়ের কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। এর পাশাপাশি পুজো দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে। শুধুমাত্র ধূপ দিয়ে প্রণাম করতে হবে।

অম্বুবাচী তিথি চলাকালীন সংসারের স্বামী ও স্ত্রী একসঙ্গে উপবাস রাখতে পারলে তা সংসারের জন্য ভালো। এর ফলে সংসারের বন্ধন যেমন দৃঢ় হয় তেমনি স্বামী ও স্ত্রী-এর মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর হয়।

অম্বুবাচী তিথি শুরু হওয়ার আগে বাড়িতে যে তুলসীগাছে পুজো দেওয়া হয় সেই গাছের গোড়ায় নতুন করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিতে হবে।

এইসময় দরিদ্র মানুষকে সাধ্যমত দান করলে উপকার পাওয়া যায়।

এইসময় বাড়িতে কোনও শুভ কাজ করা যাবে না।

অম্বুবাচী চলার তিন দিন সকালে উঠে স্নান করে নিন। এরপর পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করে ইষ্টমন্ত্র জপ করুন।

অম্বুবাচী শেষ হওয়ার পর বাড়ির দরজায় লাল সুতো বাঁধতে হবে৷ এরপর কামাখ্যা মায়ের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করুন।

অম্বুবাচী শেষ হওয়ার দিন ঘরের দেবদেবীর পুরোনো সাজ বদলে ফেলতে হবে। সিংহাসনে পাতা পুরনো কাপড়ও পাল্টে ফেলতে হবে। ঠাকুর ও তার সিংহাসনকে নতুনভাবে সাজাতে হবে।

error: Content is protected !!