আগামীকাল সোমবার জন্মাষ্টমী। এই বিশেষ দিনটিতে অধর্ম দূর করে ধর্ম স্থাপনে মথুরার যাদব বংশে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীকৃষ্ণ। প্রতিবছর হিন্দুধর্মাবলম্বীরা এই বিশেষ দিনটিকে অতি-আড়ম্বরের সাথে উদযাপন করেন। যদি কেউ এই দিনে উপবাস পালন করে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন তাহলে তাকে জড় জগতের মায়ায় বদ্ধ হতে হয় না।
শুধু তাই নয় আপনার প্রেমে যদি কোনো বাধা থাকে সেটিও কেটে যায়। তবে শুধুমাত্র উপবাস করলেই হবে না এদিন, এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলি পুজো করার আগে থেকেই মানতে হবে। তাহলেই আপনি মনের মতোন ফল লাভ করবেন। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে সেই নিয়মগুলো সম্পর্কে জানবো।
১. জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরামিষ খাবার খেতে হয়। সংযম পালন করে রাত বারোটার মধ্যেই খেয়ে নিতে হয়। শুতে যাওয়ার আগে ভালো করে হাত-পা, মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
২. জন্মাষ্টমীর দিন যদি সকাল থেকে মতো রাত পর্যন্ত উপবাস করতে পারেন তাহলে ভীষণ ভালো হয়। এদিন কৃষ্ণলীলা, হরিনাম জপ এবং হরিনাম কীর্তন করলে ভালো হয়। ভগবানকে অভিষেক করে একাদশীর মতো অনুকল্প প্রসাদ সেবন করবেন।
৩. তবে যদি শরীর খারাপ লাগে বা শরীরে কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে দুপুর বারোটার পর গোপালের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফল বা দুধ খেতে পারেন। তবে অন্যান্য একাদশীর ব্রতের মতোন এখানে অন্ন-সহ পঞ্চ রবিশস্য খাওয়ার প্রচলন নেই।
৪. জন্মাষ্টমীর পরের দিন সকালে স্নান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পারণ মন্ত্র পাঠ করে শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ দিয়ে পারণ করতে হবে।
৫. পারণ আরম্ভের সময় ‘সর্বায় সর্বেশ্বরায় সর্বপতয়ে সর্বসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ’ এবং পারণ শেষে ‘ভূতায় ভূতেশ্বরায় ভূতপতয়ে ভূতসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ’ মন্ত্র জপ করুন।
আরও পড়ুন,
*ধর্ষণ ‘মহাপাপ’, মুক্তি নেই মৃত্যুর পরেও, পুরাণে রয়েছে কঠিন শাস্তির বিধান