বরযাত্রী বোঝাই বাস উল্টে খাদে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা উত্তরাখণ্ডে। এই ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, আর একাধিক জন হতাহত হতে পারেন। ঘটনাস্থলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। মৃত সহ আহতদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করার পর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে অনুমান করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই ঘটনার কথা জানার পর ঘটনাস্থলে হাজির হন উত্তরাখণ্ড বিধানসভার স্পিকার রিতু খানদুরি। সেখানে গেলে তিনি গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এই দুর্ঘটনার ফলে দুই পরিবারেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আনন্দ করতে করতে তারা যাচ্ছিলেন।
কিন্তু আনন্দ যে এভাবে বিষাদে পরিণত হবে তা কেউ বুঝতে পারেননি। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে উত্তরাখণ্ডের পৌড়ী জেলায়৷ বাসটি ওইদিন হরিদ্বারের লালধং থেকে পৌড়ীর বিরনখাল গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। এটি বরপক্ষের বাস ছিল। কনের বাড়ি থেকে মাত্র দুই কিমি দূরে বাসটি যখন এসে পড়ে সেইসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বাসচালক।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ২০০ ফুট গভীর খাদে গিয়ে পড়ে। বাসটির মধ্যে সেইসময় ৪০ থেকে ৫০ জন ছিলেন বলে জানা যায়৷ এই ঘটনার পর সেখানকার স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয়৷ এরপর সেখানে দ্রুত হাজির হয় পুলিশ ও এসডিআরএফ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়।
উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে দেখা যায় ২৫ থেকে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহের সঙ্গে আহতদের উদ্ধার করা হয়। যারা আহত হয়েছেন তাদের হাসপাতালে পাটানো হয়। এই ঘটনায় বর ও কনের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।