ফের লাহোরকে দূষিত শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। গত সোমবার এই ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মাঝে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এবার কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি নামানো হবে। শীতের আগে ঘন কুয়াশার আস্তরণে ঢেকে গিয়েছে লাহোর। সেখানকার মানুষদের নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এর পাশাপাশি শরীরে প্রদাহের মত জ্বালা এবং চোখে জ্বালার মতন একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
তাই মঙ্গলবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি নামানো হবে। এর ফলে লাহোরের বিষাক্ত পরিবেশের মাপকাঠি কিছুটা হলেও কমানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে লাহোরে বাতাসের গুণগত মান বা এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ৩৯৪। এটি ৪৫০ ছাড়ালে দূষণের মাত্রা ‘অতি ভয়ানক’ বলে ধরা হয়। গত বছর এমন দূষণের জন্য কৃত্রিম উপায়ে নামানো হয়েছিল বৃষ্টি।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ছিল সংকটজনক অবস্থায়। সেইসময় বৃষ্টি নামানোর জন্য পাকিস্তানকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়েছিল। বছর ঘুরলেও ফের একই পরিস্থিতি শিকার হচ্ছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ছাড়িয়েছে ৩৯৪। ৪৫০ ছাড়ালে তা যে প্রতিকূল একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
তাই সেই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে চায় প্রশাসন। দূষণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে ‘অ্যান্টি-স্মগ স্কোয়াড’ তৈরি করা হয়েছে। তারা দূষণ নিয়ন্ত্রণের দিকটি দেখছেন যথাসাধ্য। এছাড়া কৃষকদের বোঝানো হচ্ছে যাতে তারা নাড়া পোড়ানো বন্ধ করেন। এরফলে যেমন বায়ুর ক্ষতি হয় তেমনই শিশুদের শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে।
লাহোরের দূষিত পরিবেশের জন্য বর্তমানে সেখানকার স্থানীয়দের চোখ জ্বালা, ত্বক জ্বালা, শ্বাস প্রশ্বাসে অসুবিধা সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।