প্রথমে দুষ্কৃতিদের নজর ছিল সইফ আলি খান নয়, বরং নাকি বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের উপর? কিন্তু মন্নতে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি বলেই আততায়ীরা কোনো উদ্দেশ্যসাধন করতে পারেনি, এমনটাই মনে করছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মন্নতে রেলিং-এর উপর থাকা কাঁটাতারের জন্য নাকি তারা ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ই জানুয়ারি মন্নতের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় এক সন্দেহভাজনকে। ওই ব্যক্তি ৬-৮ ফুটের একটি মই ব্যবহার করে পাঁচিল টপকে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। কিন্তু পাঁচিলের উপরে থাকা কাঁটাতারের বেড়ার জন্য আর প্রবেশ করতে পারেনি ওই দুষ্কৃতি। পুলিশ দাবি করেছে, মন্নতে প্রবেশ করার জন্য দুষ্কৃতিরা যে মই ব্যবহার করেছিল সেটি চুরি করে আনা।
এর পাশাপাশি ওই মইটি লোহার হওয়ায় তা যথেষ্ট ভারী ছিল। মইটি একার পক্ষে বহন করা তাই সম্ভব হয়নি। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মইটি ব্যবহার করার জন্য দুষ্কৃতিদের কেউ সাহায্য করেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও এই গোটা ঘটনায় এখনও শাহরুখের তরফে কোনো এফআইআর দায়ের করা হয়নি। তবে পুলিশের তরফে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে গত বুধবার ভোর রাতে সইফ আলি খানের বাড়ির নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দুষ্কৃতিরা। সেইসময় জেহ-এর দায়িত্বে থাকা পরিচারিকা দেখেন শৌচালয়ের সামনে কারোর একটি ছায়া। তিনি ভাবেন করিনা হয়তো ঘরের মধ্যে আসছেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর কেউ না আসলে ওই পরিচারিকা দেখতে যান।
সেইসময় তার গায়ে ঝাপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ভয় দেখায় দুষ্কৃতিরা। এরপর ১ কোটি টাকা দাবি করে তারা। তা দিতে অস্বীকার করায় দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। সেইসময় সইফ ঘর থেকে ছুটে আসেন। আর তখনই ঘটে যায় বিপত্তি। ছয় বার ছুরিকাঘাতে বিদ্ধ হন সইফ। আপাতত তিনি মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন,
*ছয়বার ছুরিকাঘাতের পরেও সইফ যেনো ‘টাইগার’, অভিনেতার মনোবল দেখে এমনটাই মন্তব্য তার চিকিৎসকদের