জীবনে কখনও পাঁঠার মাংস ছুঁয়ে দেখেননি তিনি। তার সপ্তাহের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সবার উপরে জায়গা করে নেয় নিরামিষ খাবার। সপ্তাহের চার দিন তিনি নিরামিষ খেয়েই কাটিয়ে দেন। বাকি দিনগুলিও নিরামিষ খাবার পেলে তার মন্দ হতো না। তিনি হলেন টলিউড অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। স্পষ্টবাদী বলে নাম রয়েছে তার। যেকোনো মতামত তিনি স্পষ্টভাবেই দেন। সোজা কথা বলতে কোনো রাখঢাক করেন না তিনি।
আরও পড়ুন,
এশিয়া কাপের আগে নতুন লুকে প্রত্যাবর্তন ভারতীয় ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার, ভাইরাল ছবি
এর পাশাপাশি বাস্তব জীবনে অপরাজিতা ঈশ্বরের বিশ্বাসী। বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো যেমন করেন ভক্তিভরে, তেমনই নিজের হাতে গণেশের মূর্তি তৈরি করে সেটি দিয়েও পুজো দিয়েছেন। তাই ঈশ্বর ভক্তি থেকেই তিনি নিজের খাওয়াদাওয়ায় নিরামিষকে উপরের দিকেই রাখেন। তার কথায়, “আমি ছোট থেকে কখনও পাঁঠার মাংস খাইনি। ইচ্ছাও করেনি। মাছটা এখনও খাই শাশুড়ি, স্বামী ওদের কথা ভেবে। চিকেন খুব অল্প।”
তিনি জানান, বাপের বাড়িতে রাধাগোবিন্দের পুজো হত। আর এই কারণে বাড়িতে মাংস ঢোকার চল ছিল না। যদিও মাংস আনা হত, তা রান্নার জন্য বাসন থাকত আলাদা। বাড়ির বাইরের উনুনে রান্না হতো। আর এই কারণে মাংস খাওয়ার ইচ্ছে তার সেভাবে কখনও হয়নি। তিনি সপ্তাহে চার দিন অর্থাৎ সোম, মঙ্গল, শুক্র ও শনিবার নিরামিষ খান। বাকি দিনগুলিও নিরামিষ হলে মন্দ হতো না৷
আরও পড়ুন,
‘যাদের বিশ্বাস করেছি তারাই ঠকিয়েছে!’ কার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললেন মিমি? জানুন
অপরাজিতার কথায়, বৃহস্পতিবার যেহেতু লক্ষ্মীবার তাই ওইদিন তার মাছ খাওয়া চাই। তবে শ্যুটিং-এর জন্য দেশ বিদেশে ঘুরতে গিয়ে কীভাবে নিজের খাওয়াদাওয়ার তালিকাকে স্থির রাখেন তিনি? অপরাজিতা জানান, তিনি বিদেশে গেলে পাউরুটি ও ফল খেয়ে দিন কাটান। তবে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশিরা তাকে চেনেন। তাই সেখানে গেলে তার ভাতের অভাব হয় না।
তবে মাংস খাওয়া নিয়ে অপরাজিতা নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। তার কথায়, “আমার আনন্দ কারও মৃত্যুর কারণ হতে পারে না। আমি যখন কাউকে মারব সেই প্রাণী তো ভীতি নিয়ে মরবে। তখন একটা নেতিবাচক শক্তি শরীরে জমবে। আমি চাই না, সেটা আমার মধ্যে সঞ্চারিত হোক।” আর এই কারণে তিনি আমিষ খাবার, বিশেষ করে মাংস এড়িয়ে চলেন।