জলের দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি। সমস্ত সবজির দাম এখন তলানিতে। আর এই অবস্থা দেখে মাথায় হাত ফুলকপি চাষিদের। উদয় নারায়ণপুরের চাষিরা এই পরিস্থিতি দেখে মুষড়ে পড়েছেন। তাদের কথায়, তারা ফুলকপি চাষ করে যে লাভ করার আশা করেছিলেন তা তারা করতে পারেননি৷ যদি উদয় নারায়ণপুরে সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকতো বা কিষাণ মান্ডি সঠিক জায়গায় করা হতো তবে তারা কিছুটা লাভ করতে পারতেন।
এবারের মরশুমে হাওড়ার উদয় নারায়ণপুরের কয়েক হাজার হেক্টর জমি জুড়ে চাষ করা হয়েছে সবজির। তার মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মটরশুঁটি, সিম সহ একাধিক সবজি। চলতি মরশুমে বৃষ্টির প্রভাবে ক্ষতি হয়েছে আলুর। তাই তারা স্থির করেছিলেন বৃষ্টিতে ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তা তারা এবারের সবজি চাষের মধ্যে দিয়ে লাভ করবেন। কিন্তু কোথায় কী?
পরিস্থিতি দেখে মাথায় হাত চাষিদের। সবজির দাম এখন এতই তলানিতে যে তাদের স্থির করা ভাবনায় জল ঢালতে হয়েছে। চাষিদের কথায়, এখানে ফুলকপির পাইকারি দর দুই থেকে তিন টাকা প্রতি পিস। এদিকে বাজারে ১০ থেকে ১৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। আর এরফলে লোকসান হচ্ছে ফুলকপি চাষিদের আর তাই বাধ্য হয়ে তারা সেই ফুলকপি পশুকে খাওয়াচ্ছেন। তবে শুধু ফুলকপি নয়, অন্যান্য সবজির দামও অনেক কম।
বাঁধাকপির দামও অনেকটাই কমে গিয়েছে। ৬ টাকা কেজি দরে পাইকারি রেটে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। পাঁচ কেজি বাঁধাকপি ৩০ টাকা। এক চাষির কথায়, তিনি ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১০ কাঠা জমি জুড়ে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার টাকাও তুলতে পারেননি। চাষিদের কথায়, উদয় নারায়ণপুরে সবজি সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকি কিষাণ মান্ডি মূল বাজার থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে।
যদি কিষাণ মান্ডি উদয় নারায়ণপুরের বাসস্ট্যান্ডের কাছে হতো তবে চাষিরা কিছুটা লাভ করতে পারতেন। তাই চাষিরা চান উদয় নারায়ণপুরে একটি সবজির সংরক্ষণাগার থাকুক। এর ফলে যেমন তারা উপকৃত হবেন তেমনই বাজারেও সঠিক দামে সবজি বিক্রি করতে পারবেন তারা।
আরও পড়ুন,
*দীপিকা পাড়ুকোনকে চতুর্থ স্ত্রী বানাতে চেয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত! চাঞ্চল্যকর মন্তব্য সাক্ষাৎকারে