শরিফুলের সঙ্গে ডিভোর্সের বর্ষপূর্তি উদযাপন নায়িকার!

kmc 20240919 141703 lm5Sdg7w2O

সময়ের উপর সবকিছু ছেড়ে দিলে ক্ষত ধীরে ধীরে সেরে যায় তার প্রমাণ মানুষ নিজের জীবনে বারংবার উপলব্ধি করে। কিন্তু একবছর পর এভাবে সেই ক্ষতে প্রলেপ পড়ার পর তার বর্ষপূর্তি উদযাপন যেনো অনেকেই ভাবতে পারেন না। এমনই দেখা গেলো পরীমণিকে করতে। তার কাণ্ড দেখে অনেকেই অবাক। গতবছর এই সময় পরীমণির বুক জুড়ে ছিল শুধুই হাহাকার। ছিল একরাশ চিন্তা। কিন্তু বছর ঘুরতে দিন যেভাবে বদলে গিয়েছে তা হয়তো পরীমণি নিজেও ভাবতে পারেননি।

এবার দুই সন্তানকে নিয়ে জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিনটির বর্ষপূর্তি উদযাপন করলেন পরীমণি। এক বছর আগে এই দিনেই প্রাক্তন স্বামী শরিফুল রাজ ও পরীর বিবাহিত জীবন নিয়ে আলোচনা চলতে দেখা গিয়েছিল। তাদের বিয়ে নিয়ে চারিদিকে নানান গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর শোনা যায় দাম্পত্য কলহের জেরে পরীমণি হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে ধীরে ধীরে সেই অবস্থা থেকে নিজেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন অভিনেত্রী।

প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে অনেকদিন হলো তার কোনো যোগাযোগ নেই। আর সেই সম্পর্কের বিচ্ছেদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এবার উদযাপন করলেন অভিনেত্রী৷ ছেলেমেয়ে ও তার প্রিয় পোষ্যকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও দিলেন তিনি। ছবিতে দেখা গিয়েছে হলুদ বেলুন দিয়ে সাজানো। সেজেগুজে বসে রয়েছেন পরীমণি। তার কোলে দুই ছেলেমেয়ে ও পোষ্য। সুখী পরিবারের এই ছবি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পরীমণি।

এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লেখেন, “এখন যখন আমি আমার দিকে দেখি, দেখতে পাই একজন পরিপূর্ণ সুখী মানুষকে। এই জীবনে কষ্ট থাকুক। সেটা কেবল বড় হওয়ার কষ্ট। আমি সেই কষ্টটা আনন্দ নিয়েই করতে চাই। কিন্তু অন্যের ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট পেতে দেব না আর নিজেকে আমি। এই তো কেমন হাসতে খেলতে ওদের নিয়ে জীবন উদযাপন করছি। আমার মানিক জোড়,একদিন আমরা সত্যি ঐ আকাশ ছোঁব দেখিস।”

তিনি আরও লেখেন, “আজ থেকে এক বছর আগে আমার জীবনের সেই ভুল মানুষকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। এক বুক হাহাকার, হতাশা। বুকের মধ্যে জাপটে ধরেছিল আমার ছোট্ট বাচ্চা ছেলেটা! কিন্তু দেখো, আজ আমরা একটু একটু করে নিজেদের মতন ভাল থাকতে শিখে গেছি। আজ আর সেই ভুল মানুষের কোন অস্তিত্ব নেই আমাদের কারও জীবনে। আমারা ভালো আছি । হ্যাপি ডিভোর্স অ্যানিভার্সারি পরী!”

আরও পড়ুন,
*গরীব মানুষকে ঠকিয়ে ১ টাকার বদলে ২ টাকা ফী নেওয়া সাহস হয় কীভাবে? চাকরি খোয়ালেন সরকারি কর্মী!