পূর্বে একমাস ধরে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় কে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে অনেক। অন্তরালবর্তী স্থানে তার অসংযত বক্তব্য। আরজিকর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তিনি যা যা অভিমত জানিয়েছিলেন তা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। তাই তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার সম্মুখে পড়তে হয়েছে। ডোনার অভিমতের জন্য নাকি বিদেশে থেকে তার শো বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি কখনো এসব বিষয়ে চুপ করে থাকেননি। বারংবার নিজের মতো করে প্রচার করেছেন। ডোনা এবার এই শো বাদ দেওয়ার নিয়ে বদন খুললেন।
তিনি তীক্ষ্ণ ভাষায় সব কটাক্ষরে উত্তর দিয়েছেন। কিছুদিন আগে কলকাতাতেই একটি শোক করেছেন ‘দুর্গতিনাশিনী’। ডোনা ওইখানেই তার শো বাদ দেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন। তিনি বলেছেন, পুজোর মধ্যে কে কালচার প্রোগ্রাম বাদ দেবে, কে নতুন জামা পরিধান করবে না, এটা একান্তই নিজের ব্যাপার। মানুষেরা যদি ভুল করে পছন্দের কথা বলতে পারে, আমার সত্যিই কিছু বলার নেই। কয়েকটা প্রোগ্রাম হয়তো বাতিল হয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে, সবগুলি বাতিল হয়ে গিয়েছে।’
এই বছরেই ইউকেতে প্রোগ্রাম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই আরজিকর কর্মকাণ্ডের ঘটনার জন্য বিদেশি বাঙালিরা রাজি নয় তার প্রোগ্রাম দেখার জন্য। ৯ ই আগস্ট আরজিকর কর্মকাণ্ড ঘটার পর ডোনা বলেছিলেন, ‘রেপ-টেপ সব স্থানেই হয়। কিন্তু বাংলার মতো এত সমাবেশ কোথায় হচ্ছে? বাংলার সব লোকেরা সমাবেশ করছে এটা একটা বড় ব্যাপার।
আমাদের অহংকার যে সব লোকেরাই প্রতিবাদ করছে। আমরা আজকে তাসের দেশ করছি। এটা একটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিবাদের সুর। ভরসা করছি, খুব তাড়াতাড়ি ন্যায়বিচার পেয়ে যাবে। এতদিন হৃদয়টা খুব শোকের মধ্যে ছিল, এখন ভরা হল দেখে হৃদয়টা খুব উৎফুল্ল।’ এই বিষয়টি ঘটার পরেই সকলেই কোলাহল করে উঠলেন। তাই বাদ দেওয়া হল ডোনার বিদেশের প্রোগ্রাম। জালানো হয়েছে ফেসবুকের দ্বারা।