‘স্বাধীনতা অর্থহীন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ’, শান্তির ডাক আজমেরী হক বাঁধনের

গত রবিবার পর্যন্ত দেশ জুড়ে আন্দোলন চললেও গতকাল সোমবার বাংলাদেশের চিত্রের এক অভাবনীয় বদল ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই আন্দোলন যেনো এক ভয়ঙ্কর হিংসা, লুঠতরাজ ও ভাঙচুরে পরিণত হয়। গত রবিবার পর্যন্ত গোটা দুনিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকলেও সোমবার বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনায় অনেকেই বিস্মিত, বিহ্বল।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তিনি দেশ থেকে বিদায় নেওয়ার পরেই গোটা দেশে শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর চরম আক্রমণ নেমে আসে। তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। মেরে ফেলা হয় হিন্দুদের। তাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি গণভবনে চলে লুঠ ও তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।

এই পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক তারকা সোচ্চার হয়েছেন। এতদিন ছাত্র আন্দোলনের ফলে হত্যাকাণ্ড, বিচারের দাবি ও গণগ্রেপ্তার বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন তারা। এবার শান্তির ডাক দিচ্ছেন। জনপ্রিয় তারকা বাঁধন এই বিষয়ে বলেন, “এখনই সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ বন্ধ করার ডাক দিচ্ছি। আমি সবাইকে শান্ত থাকার এবং শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করছি।”

তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রদায়িক সহিংসতার খবর গভীরভাবে উদ্বেগজনক এবং তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্থহীন, যদি আমাদের হিন্দু ভাই-বোন এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করা হয়।” এদিকে বাংলাদেশের ফোক ব্যান্ড জলের গান-এর গায়ক, গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দের বাড়িতে গতকাল হামলা হয়। ছোটোবেলা থেকে তার বানানো প্রায় ৩ হাজার বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা হয়।

কিছুদিন আগে রাহুল আনন্দের বাড়িতে এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। সেইসময় তাকে নিয়ে গর্ব করেছিল গোটা দেশ। আর তার বাড়িতেই গতকাল হামলা চলে। এরপর অনেকই এই ঘটনার প্রতিবাদের সুর চড়িয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অশান্ত হতেই ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে ভয়াবহ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন,
*স্বপ্নে আদেশ! তৈরি হল প্রথম ‘এলিয়েন মন্দির’, লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো বড় বড় দু’টি চোখ