ভারতে নানান ধর্মের মানুষের বসবাস। তবে সবথেকে বেশি দেবদেবী রয়েছে হিন্দু ধর্মে। মোট ৩৩ কোটি দেবদেবী রয়েছে হিন্দু ধর্মে। হিন্দু ধর্মের নানান পুজো চলে সারাবছর ধরে। হিন্দু ধর্মের একাধিক মন্দির রয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। তার মধ্যে অনেক মন্দির জগৎবিখ্যাত। সম্প্রতি এমনই এক মন্দির ও তার মধ্যে একটি দেবতার খোঁজ মিলেছে।
মূর্তিটি দেখতে কেমন?
তাকে এলিয়েন দেবতা বলা হচ্ছে। মূর্তিটি দেখতে মানুষের মতন কিন্তু তবু মানুষের মতন নয়। তার হাত, পা, মুখ রয়েছে। তবে মুখের নীচে থুঁতনি থেকে সরু হয়ে গিয়েছে। তার মুখের সবথেকে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো বড় বড় দু’টি চোখ। মাথার উপরটা ক্রমশ বড় হয়ে উঠেছে। সবকিছু মানুষের মতন তবুও মানুষ নয়৷
দেবতাকে কোন মন্দিরে রাখা হয়েছে
এই দেবতাকে কোন মন্দিরে রাখা হয়েছে তা নিয়ে সকলের কৌতুহল উঠতে শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, তামিলনাড়ুর সালেম জেলার মল্লমুপট্টি গ্রামের একটি মন্দিরে এই মূর্তিটি রাখা রয়েছে। এটি কালিয়া শিব মন্দির। ভূগর্ভস্থ এই মন্দিরে রাখা রয়েছে এলিয়েন দেবতার মূর্তি। এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন পুরোহিত লোগানাথন।
ভিনগ্রহীদের সঙ্গে কথা বলেছেন পুরোহিত!
এই মন্দিরে তিনি পুজোর প্রচলন করেন। সকলে তাকে এই অদ্ভুত দেবতার বিষয়ে জিগ্যেস করলে তিনি বলেন, দেবাদিদেব শিব প্রথম যে দেবতার সৃষ্টি করেছেন তারা হলেন ভিনগ্রহী৷ এই ভিনগ্রহীরাই বিশ্বকে রক্ষা করতে পারবে। ওই পুরোহিত জানান, তিনি ভিনগ্রহীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তাদের থেকে অনুমতি নিয়েই তিনি এই মূর্তিটি তৈরি করেছেন বলেও জানান। ওই পুরোহিতকে স্থানীয়রা সিদ্ধর ভাকিয়া নামে চেনেন। তিনি বলেন, “সিনেমায় যেমনটা দেখানো হয় ভিনগ্রহীরা কিন্তু তেমন দেখতে নয়। তাদের চেহারা মানুষের মতোই। নারী পুরুষ রয়েছে ভিনগ্রহীদের মধ্যেও।”
আরও পড়ুন,
*ইছামতীর তীরে পরম-পিয়া যুগলবন্দী, অনুরাগীরা আল্লাদে আটখানা