কাশ্মীরের জঙ্গি হানায় নিহত হয়েছেন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে ছয়জন শ্রমিক ও একজন চিকিৎসক। এই জঙ্গি হানায় এবার শেষ জঙ্গির মৃত্যু হল মঙ্গলবার সকালে। এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুরে তৃতীয় জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে আখনুরে নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় সেনার একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই হামলার পর ভারতীয় জওয়ান তৎপর হয়ে ওঠে।
জঙ্গিদমন করতে চারিদিকে হানা শুরু হয়। সেনার স্পেশাল ফোর্সের জওয়ান ও এনএসজি কমান্ডোরা ওই অঞ্চলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। তল্লাশি চালাতে গিয়ে সোমবার এক জঙ্গিকে পাকড়াও করেন জওয়ানরা। এরপর তার মৃত্যু হয় ভারতীয় জওয়ানদের হাতে। পরদিন মঙ্গলবার সকালে আরও দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়।
মনে করা হচ্ছে, ওই অঞ্চলে ওই তিন জঙ্গি লুকিয়েছিল৷ তাদের তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আর কোনও জঙ্গি নেই বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ ভারতীয় সেনার অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গি হামলা হওয়ার পর গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা৷ এদিকে জওয়ানদের গাড়ি লক্ষ্য করে বালতাল এলাকায় তিন জঙ্গি আচমকা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
জওয়ানদের অ্যাম্বুলেন্সে গুলি চালানোর পর জঙ্গিরা নিকটবর্তী জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। এরপর সেই জঙ্গলে গোটা জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়। এক সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার ভোরের দিকে দু’টি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এরপর অনুমান করা হয়, যে তিনটি জঙ্গি প্রবেশ করেছিল তারা তিনজনই মৃত।
মাঝেমধ্যে জঙ্গি হানায় বিধ্বস্ত জম্মু ও কাশ্মীর। গত সপ্তাহে কাশ্মীরের গুলমার্গে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এরপর পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরা৷ এই সংঘর্ষে আহত হন দুই জওয়ান ও বাহিনীর দু’জন মালবাহক। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের চারজনেরই মৃত্যু হয়।