গত ২-রা মার্চ শনিবার সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজ। তাঁদের রিসেপশনের অনুষ্ঠান ছিল ৬ই মার্চ, বুধবার। সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল পার্ক স্ট্রিটের এক ব্যাঙ্কোয়েট হলে। কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ে নিয়ে এমনিতেই ব্যঙ্গবিদ্রুপ, চর্চা, সমালোচনার ঢল বইছে। তার উপর আবার সেই আগুনে ঘি পড়ল নতুন করে। বিয়ে ও রিসেপশনের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উপস্থিতি চান নি কাঞ্চন-শ্রীময়ী, সেটা তাঁরা আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে রিসেপশনের অনুষ্ঠানে তাঁদের লিখিত নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
পার্ক স্ট্রিটের ওই ব্যাঙ্কোয়েট হলে রিসেপশনের অনুষ্ঠান ঢোকার মুখেই একটি বোর্ডে ইংরেজি হরফে লেখা ছিল ‘প্লিজ়, প্রেস অ্যান্ড পার্সোনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ড্রাইভার্স আর নট অ্যালাউড’। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “দয়া করে সাংবাদিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকের প্রবেশ নিষেধ।” বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এই ছবি ঘুরঘুড়ি করেছে সমাজমাধ্যমে। সাংবাদিক মহলের একাংশ এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সোচ্চার হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চন-শ্রীময়ীর উদ্দেশে প্রতিবাদস্বরূপ খোলা চিঠিও লেখা হয়েছে।
অনেকেরই ‘অপমানজনক’ বলে মনে হয়েছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর এই ‘নট অ্যালাউড’ পদক্ষেপ। যাঁদের এই ‘কর্মকাণ্ড’কে কেন্দ্র করে সর গরম সমাজমাধ্যমের, তাঁরা কী বলছেন? এ প্রসঙ্গে প্রথম এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন নববধূ শ্রীময়ী। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা একেবারেই এটা করিনি। আমাদের কাছে সাংবাদিকেরাও মানুষ, গাড়ির চালকেরাও মানুষ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরাও মানুষ। কাউকে ছোট করা হয়নি।” তিনি আরও বলেছেন, “দ্বিতীয়ত, আমরা চেয়েছিলাম খানিকটা গোপনীয়তা বজায় রাখতে।”
করণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। সেই কারণেই নাকি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন- “আমরা সাংবাদিক, নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখতে চাই।” এমনিতেই সমাজমাধ্যমে তাঁদের বিয়ে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের বন্যা বইছে। তার উপর আবার সেখানে যদি অনুষ্ঠানে প্রবেশ অবাধ হয়, তাহলে মুশকিল বাড়বে বলে আশঙ্কা ছিল।
তবে কি এই গোটা ঘটনার দায় হোটেল কর্তৃপক্ষের? এই জবাবে কাঞ্চনের তৃতীয় স্ত্রী শ্রীময়ীর জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছিলাম। হোটেল কর্তৃপক্ষ কী ভাবে সেটা পরিচালনা করছেন সে বিষয়ে কোনও তথ্য আমাদের কাছে ছিল না।” তিনি এ বিষয়ে আরও বলেছেন- “এখানে তো কাউকে অপমান করা হয়নি। সকলেই তো মানুষ। আমাদের বিয়ের কার্ডেও এমন কোনও ইঙ্গিত নেই।”