মাত্র ৯ বছর বয়সে একের পর এক স্বর্ণপদক জয়ী বাংলার আরুষি দে! বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে সকলকে চমকে দিয়েছে সে। মাত্র ৬ মিনিটে ২৫৪ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’র নিজের নাম দাখিল করেছে আরুষি।
এরপর তার একের পর এক সাফল্য চমকে দিয়েছে সকলকে। রহড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া আরুষি। ৫ বছর বয়সে গান ও আবৃত্তিতে ১৬৪ এর বেশি পদক জয় করেছে সে। গত বছর ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াডে ৬ বিষয়ে সোনা এবং ১টিতে রুপোর পদক জিতেছে।
এই বছরেও ১২টি দেশের অংশগ্রহণকারী কয়েক লক্ষ পড়ুয়ার মধ্যে রেকর্ড তৈরি করেছে সে। জানা গিয়েছে, নার্সারিতে পড়ার সময় থেকেই তার গান ও আবৃত্তিতে আগ্রহ ছিল। আড়াই বছর বয়সে আবৃত্তিতে হাতেখড়ি হয় তার। এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় তার একাধিক আবৃত্তির ভিডিও।
সেখানে ভিউ দেখলে অবাক হয়ে যাবেন সকলে। এমন একটি ভিডিও রয়েছে সেখানে ১৮ লক্ষ ভিউ হয়েছে। এরপর থেকে স্টেজে পারফরম্যান্স করতে শুরু করে সে। বাবা দেবজ্যোতি দে জানিয়েছেন, ‘শুধু আবৃত্তি নয় সেই সঙ্গে পড়াশোনাতেও ও দারুণ। সব সময় নতুন কিছু করার ইচ্ছা, শেখার ইচ্ছা তাড়া করে বেড়ায় ছোট্ট মেয়েটিকে।’
যদিও তার এই দক্ষতা থেকে এই মুহূর্তে কোনো অর্থ উপার্জন করতে চাইছেন না তার বাবা। তার মতে ও যেটা ভালবেসে করে সেটা নিয়েই এগোক এটাই তিনি চান। পাশাপাশি সমাজের অন্যান্য বাবা-মাকে নিয়ে বার্তা দিয়েছেন, ‘পড়াশুনার চাপকে সামাল দিয়ে আপনার সন্তান যে বিষয়ে আগ্রহী সেদিকে ফোকাস দেওয়া সকল বাবা-মার একমাত্র কর্তব্য।’
আর মা প্রীতি সাহা চৌধুরী বলেন, ‘আবৃত্তিটা ওর ভালোলাগার একটা বিষয়। সেই সঙ্গে ও আবৃত্তিতে খুবই সাবলীল। আমরা চাই ও ওর নিজের ছন্দে বেড়ে উঠুক। পড়াশুনার পাশাপাশি গানও আরুষির পছন্দের বিষয়। মেয়ের সাফল্যে আমরা গর্বিত।’ অন্যদিকে নিজের এই অসামান্য সাফল্যের বিষয়ে আরুষি জানিয়েছে, ‘আরো ভালো ফল করতে হবে ভবিষ্যতে।’ বড়ো হয়ে সে মূলত মহাকাশবিজ্ঞানী হতে চায়।