বুধবার অসমের বক্সা জেলায় জুবিন গার্গের মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছাল। সিঙ্গাপুরে গায়কের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ জনকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হামলায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কড়া নিরাপত্তায় পুলিশি কনভয়ে করে অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় আচমকা পুলিশের গাড়িবহরে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা।
চোখের পলকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় গোটা এলাকা। চারদিক থেকে শোনা যেতে থাকে স্লোগান— “ওদের ভিতরে রাখা যাবে না, আমাদের হাতে তুলে দিন!” এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি, ছোড়া হয় পাথর, পুলিশের গাড়ির দিকেও চলে হামলা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ।
চোখের জলে ক্ষোভ উগরে দেন অনেকেই। কারও হাতে জুবিনের পোস্টার, কারও হাতে পাথর। জেলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। মুহূর্তের মধ্যেই জেলের বাইরের পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অগ্নিগর্ভ। ঘটনায় সাধারণ মানুষ থেকে সাংবাদিক— অনেকেই আহত হয়েছেন বলে খবর।
বিনোদন
‘লাপতা লেডিজ’-এর ১৩ পুরস্কারে ক্ষোভ সুদীপ্ত সেনের, বললেন “৭২ ঘণ্টাও টিকল না সিনেমা, অথচ সেরা ছবি!”
সিঙ্গাপুরে জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গার্গের রহস্যজনক মৃত্যুর পর থেকেই তোলপাড় গোটা দেশ। কীভাবে মৃত্যু হল অসমের এই তারকা শিল্পীর, তা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। স্বামীর মৃত্যুর ন্যায়বিচার চেয়ে সরব হয়েছেন স্ত্রী গরিমা গার্গ।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন জুবিনের তুতো ভাই ও পুলিশ আধিকারিক সন্দীপন গার্গ। তার আগে গ্রেফতার হন গায়কের ঘনিষ্ঠ সহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মা, ব্যান্ডের সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী, ‘নর্থইস্ট ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত, এবং সঙ্গীতশিল্পী অমৃতপ্রভা মহন্ত। গ্রেফতার করা হয়েছে জুবিনের দুই নিরাপত্তারক্ষীকেও।
অসমের সাংস্কৃতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ— সকলে একবাক্যে দাবি করছেন, “জুবিন গার্গের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই।”
পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ, তবে উত্তেজনা এখনও তীব্র।
বিনোদন
“তুমি ওই ভাবে নাচতে পারো না”, আইটেম ডান্সার মালাইকার সবেতেই আপত্তি ২২ বছর বয়সের ছেলে আরহানের
