Ram Mondir Ajodha: ধীরে ধীরে সেজে উঠছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। আগামীকাল সোমবার ২২শে জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দিরের। আর সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাজগোজের অন্ত নেই। অযোধ্যা সেজে উঠছে নতুন রূপে। অযোধ্যা এখন নতুন নাম অযোধ্যা ধামে পরিচিত হচ্ছে। চারিদিকে সবকিছুই নতুন। গোটা শহরের শেষ রূপটান দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। চারিদিকে আলোয় আলোয় সেজে উঠেছে, রাস্তার ধারে চলছে ফুল গাছ লাগানোর প্রস্তুতি। এছাড়া ফৈজাবাদ থেকে অযোধ্যার সমস্ত বাড়ি ও হোটেলে গেরুয়া পতাকা টানানো হয়েছে। চারদিকে রাম, হনুমানের ছবি। নয়াঘাট এলাকা বেশ জমজমাট। তার নতুন নামকরণ হয়েছে লতা মঙ্গেশকর চক।
রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে গোটা শহরকে সক্রিয় পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে। সঙ্গে শহরকে এখন নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। রাম মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে রয়েছে একাধিক সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমান, বাল্মিকী ও তুলসীদাসের মন্দির। রাম মন্দিরকে ঘিরে গোটা দেশে সাজো সাজো রব হলেও এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার ধরন কিছু বদলাতে পারবে কি যোগী সরকার। অর্থাৎ এই মন্দিরকে ঘিরে আশেপাশের মানুষের অর্থনৈতিক সুরাহা হবে কিনা এই প্রশ্ন এখন অনেকের মুখে মুখে ঘুরছে। এদিকে গোটা রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগীকে বেশ সমীহ করে চলেন। তাদের মতে, ‘যোগীজি আমাদের জন্যই তো সব করছেন”।
আরও পড়ুন,
*Ram Mondir: আগামী কাল রামমন্দিরের দরজা খুলবে কখন? রইল আরতির সময় সহ সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানসূচি
*Ram Setu: রাম সেতু, আরিচল মুনাই পয়েন্ট পরিদর্শনে মোদী
মন্দির সংলগ্ন রাস্তা আরও বড় করা হয়েছে। এরফলে রাস্তার পাশে থাকা ছোটো দোকান ভাঙা পড়েছে অগুনতি। আগে রাস্তা ছিল সরু এবং সারাদিন যানজট নিত্যসঙ্গী ছিল। কিন্তু সেই ছবি এখন উধাও। এখন হয়েছে চওড়া দুই লেনের রাস্তা। তবে যাদের দোকান ভাঙা পড়েছিল তারা ঘর পেয়েছেন। তবে গোটা অঞ্চলে টোটো চালকদের দৌরাত্ম কমেছে। অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে সেটি। তার বদলে এখন বিদ্যুৎচালিত সিটি বাস চালু হয়েছে। বাসে করে শহর ঘুরছেন সকলে। আর তাতে টোটো চালকদের দুর্দিন নেমে এসেছে।
আগে যারা সরযূর পাড়ে বা রাম কি পৌরির কাছে বসতেন সওয়ারি করবেন তারা উধাও। রাস্তায় নেই কোনো যানজট কিংবা টোটো চালকদের ভিড়। এদিকে পাশেই এক চায়ের দোকানে কাজ করছিলেন ছোটেলাল। তিনি এর আগে সস্তা দামের বিভিন্ন খাবার বিক্রি করতেন। তার দাদা আগে টোটো চালাতেন। এখন টোটো চালানো বন্ধ থাকায় রাস্তায় আলো লাগানোর ঠিকাদারের কাজ নিয়েছেন। একাধিক দোকান, টোটো ইত্যাদি উচ্ছেদ নিয়ে বিশেষ সরব নয় অযোধ্যা।
আপাতত তারা রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে মত্ত রয়েছেন। রাস্তাঘাট সবসময় পুলিশের তদারকিতে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। কারণ প্রশাসনের কোনো মন্ত্রী বা যোগীজি স্বয়ং কখন চলে আসেন তা কেউ জানে না। এদিকে প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ মানুষ ছাড়া যারা এসি ট্রেন বা বিমানে করে আসবেন এবং থাকবেন নামি-দামি হোটেলে তারা ‘মিনারেল ওয়াটার’ ছাড়া অন্য কিছু কিনবেন কি! এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কলেজপড়ুয়া পঙ্কজ মৌর্য বলেন, ভবিষ্যতের কথা এখন বলা সম্ভব নয়। মন্দির হচ্ছে কিন্তু এখানকার সাধারণ মানুষের জীবনের বিশেষ বদল ঘটবে না। কারণ বিদেশ কিংবা দিল্লি ও মুম্বাই থেকে আসা মানুষেরা মিষ্টি, ফুল এসব কিনবেন নাকি শুধু কিনবেন জলের বোতল?
আরও পড়ুন,
*নুসরতের বুকে খোদাই করা ও কার নাম? শৈশবের অতীত ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
*উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিওর মূলচক্রী