গত বৃহস্পতিবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দেন যাদবপুরের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এরপর রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। মিমির হঠাৎ কেনো এমন সিদ্ধান্ত সেই বিষয়েও নানান প্রশ্ন সামনে এসেছে। কিন্তু মিমি সাফ জানিয়েছেন, রাজনীতি তার জন্য নয়। তাই তিনি সাংসদ পদ ত্যাগ করার আর্জি জানিয়েছেন।
যদিও তার ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেনি শাসক দল। এবার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। রুদ্রনীল ঘোষ জানালেন, “মিমি চক্রবর্তী যখন এই কথাগুলো বলছেন মানেই তো তিনি বুক ফুলিয়ে চুরি জোচ্চুরিকে সমর্থন করতে পারছেন না। নিশ্চয়ই তিনি সেটার সঙ্গে মানাতে পারেননি। শুধু মিমি কেন, আমি আবার বলছি, গত এক থেকে দেড় বছর ধরে যে লুঠ চলছে, যে তারকারা দলে এসেছেন তারা এসেছেন মানুষের ভালোবাসা পেয়ে।”
আরও পড়ুন,
*সোশ্যাল সাইটে ‘ভাইরাল’ উচ্চ মাধ্যমিকে ভুয়ো প্রশ্নপত্র, সাইবার ক্রাইমে সংসদ
*সাগরের নীচে রহস্যময় প্রাচীর! তৈরি করল কারা?
এরপর তিনি আরও বলেন, “আমাদের জামা বাড়ি সবই তো এই মানুষগুলোর দৌলতে। আমরা যখন তারকারা কোনও দলের হয়ে মঞ্চে উঠছি তখন তো আমাদের দেখেই কিছু মানুষ বিশ্বাস করে ফেলছেন। সেটা তো সেই মানুষগুলোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাই হচ্ছে। এদের জন্যই তো আজ আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি।”
এরপর তিনি যোগ করেন, “হতে পারে এরকম কিছুই মিমি চক্রবর্তী সহ্য করতে পারেননি। তাই বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন। বাকি কথা তো আমার বন্ধু মিমিই বলবে। আমি যখন বেরিয়ে এসেছিলাম, তখন আমার জগতেরই অনেক বন্ধুরা আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করেছিল। যখন প্রতিবাদ করে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি আমাকে দল বদলু, টিকটিকি-গিরগিটি বলা হয়েছিল।”
এরপর বিজেপি দলনেতা রুদ্রনীল ঘোষ জানান, পরবর্তীতে তৃনমুল থেকে আরও অনেকেই বেরিয়ে আসতে চলেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেব একাধিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এরপর জোর চাপনউতোর চলে। তবে শাসক দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পর দেব তার মত বদল করেন।
আরও পড়ুন,
*রকুল-জ্যাকির বিয়ে, প্রথম কার্ড গেল কার কাছে?
*২০২৫-সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে বড় পরিবর্তন! থাকবে না আর ভুলের আশঙ্কা