অপঘাতে মৃত্যুর আগাম ইঙ্গিত: গরুড় ও শিবপুরাণে কী বলা আছে?

‘জন্মিলে মরিতে হবে/ অমর কে কোথা কবে’—জীবন নশ্বর, মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, প্রত্যেক মানুষের জন্য নির্দিষ্ট আয়ু নির্ধারিত থাকে। সেই আয়ু পূর্ণ হলে যমদূত এসে প্রাণ নিয়ে যান। তবে মৃত্যু যদি স্বাভাবিক পথে না এসে দুর্ঘটনা, খুন, আত্মহত্যা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো কারণে ঘটে, তাকে বলা হয় অপঘাতে মৃত্যু। ধর্মীয় ব্যাখ্যায় এমন মৃত্যু শুধু আকস্মিক নয়, অত্যন্ত কষ্টকরও।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, অপঘাতে মৃত্যু হলে আত্মা নির্ধারিত আয়ু শেষ না হওয়া পর্যন্ত জন্ম-মৃত্যুর মধ্যবর্তী স্তরে আটকে থাকে। অনেক সময় অসম্পূর্ণ কাজ, অতৃপ্ত ইচ্ছা বা আকস্মিক মৃত্যুর যন্ত্রণা সেই আত্মাকে দেহহীন অবস্থায় সংসারে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য করে। লোকবিশ্বাসে এমন আত্মা ভূত, পিশাচ বা অন্য কোনও অতৃপ্ত সত্তায় রূপ নিতে পারে বলেও বলা হয়।

ধর্মগ্রন্থ গরুড় পুরাণ ও শিবপুরাণ-এ দাবি করা হয়েছে, অপঘাতে মৃত্যুর আগে কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করে। এই লক্ষণগুলিকে আগাম সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখা হয়।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অপঘাতে মৃত্যু ঘনিয়ে এলে ব্যক্তি নিজের নাকের সামনের অংশ স্পষ্ট দেখতে পান না। অনেক সময় আয়না বা জলে নিজের মুখ দেখা যায় না, কিংবা দেখলেও নিজেকে চিনতে অসুবিধা হয়। এটি মানসিক বিভ্রান্তির ইঙ্গিত বলেও ধরা হয়।

শিবপুরাণে বলা আছে, মৃত্যুর প্রায় ছ’মাস আগে থেকে জিভের কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে। খাবার বা পানীয়ের স্বাদ ঠিকভাবে বোঝা যায় না। একই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণ ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। কথা জড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা দেয়।

আরও পড়ুন
Palmistry: আয়ু কত দিন? বলে দেবে হাত ও ললাটের রেখা, জানতে চান?

গরুড় পুরাণ অনুযায়ী, সূর্য ও চাঁদকে স্পষ্ট দেখা যায় না, চোখের সামনে মাঝেমধ্যে কালো বা লাল বৃত্ত ভেসে ওঠে। এটি শরীর ও ইন্দ্রিয়ের দুর্বলতার লক্ষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।

আরও পড়ুন
ডান হাতেই কেন আশীর্বাদ? বৈদিক জ্যোতিষের মতে জানুন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লক্ষণটি দেখা যায় মৃত্যুর একেবারে কাছাকাছি সময়ে। তখন ব্যক্তি নিজের ছায়াও দেখতে পান না। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, ছায়া অদৃশ্য হয়ে যাওয়া মানেই মৃত্যু অত্যন্ত সন্নিকটে।

আরও পড়ুন
২০২৬-এ ৪০ দিনের ধন রাজযোগ: শনির উদয়ে ভাগ্য বদলাবে তিন রাশির

এগুলি মূলত ধর্মীয় ও লোকবিশ্বাসভিত্তিক ব্যাখ্যা। বাস্তব জীবনে এই ধরনের লক্ষণ শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতার কারণেও হতে পারে। তবু প্রাচীন শাস্ত্র ও বিশ্বাস অনুযায়ী, এগুলিকেই অপঘাতে মৃত্যুর সম্ভাব্য পূর্বাভাস হিসেবে ধরা হয়।

আরও পড়ুন
শুক্র-শনির শক্তিশালী ‘শতাঙ্ক যোগ’: আজ থেকে খুলছে ৪ রাশির ভাগ্যের দরজা

শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক