দেদার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে চলেছেন সেলফি থেকে গ্রপফি? অজান্তেই শিকার হতে পারেন বড়সড় প্রতারণার

বর্তমানে প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার সঙ্গে উন্নত হয়েছে সমস্ত বৈদ্যুতিন জিনিস। তার মধ্যে একটি হলো মোবাইল। ধীরে ধীরে মোবাইল যেমন উন্নত হয়েছে তেমনই এটির ক্যামেরার গুণমান অনেকটাই উঁচু স্তরে চলে গিয়েছে। আর এমন ক্যামেরার মোবাইল কিনতে আগ্রহী থাকেন সকলে। তাই সকলের হাতে এখন উন্নত ক্ষমতাসম্পন্ন মোবাইল ফোন। আর এই মোবাইল ফোন আপনার জীবনে আনতে পারে বড়সড় বিপদ। দারুণ ক্যামেরার স্মার্টফোনগুলির বাজারে এখন দারুণ চাহিদা।

আর এই স্মার্টফোনে নিজস্বী তোলার হিরিক পড়ে যায়। সকলেই ছবি তুলতে উদ্যত হন। আর সেই ছবি সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করেন সকলে। নিজস্বীর পাশাপাশি অনেকে গ্রুপে ছবি তোলেন। আর এতেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল-এ এই বিষয়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে তা ভয়াবহ।

রিপোর্টে বলা হচ্ছে, হাত দেখিয়ে নিজস্বী তুললে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রতারকদের হাতে চলে যেতে পারে। অনেকেই মোবাইলের সামনে হাত দেখিয়ে ছবি তোলেন। কেউ কেউ বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে থাম্বস্ আপের ভঙ্গিতে ছবি তোলেন। এখানেই সবথেকে বড় ফাঁদ পাতেন প্রতারকেরা। হাত দেখিয়ে ছবি তুললে হাতের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

খালি চোখে তা বোঝা না গেলেও বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারকেরা হাত থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আলাদা করে নেন। উন্নতমানের রেজোল্যুশন যুক্ত ক্যামেরায় ঝকঝকে ছবি উঠলেও তা আদতে বিপদ ডেকে আনতে পারে। বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছবি তুললে সেই ছবি থেকে আঙুলের ছাপ পাওয়া খুবই সহজ হয়ে যাচ্ছে প্রতারকদের কাছে।

আর সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকেরা। অনেকের ফোনে নেট ব্যঙ্কিং সহ টাকা পয়সা লেনদেনের অ্যাপগুলি বায়োমেট্রিক দেওয়া রয়েছে। ফলে সেই অ্যাপগুলি নিরাপত্তা হারাচ্ছে। এতদিন যদিও বলা হচ্ছিল পাসওয়ার্ডের চেয়ে বায়োমেট্রিক আরও বেেশি ভরসাযোগ্য। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই থিয়োরি আর কাজে লাগছে না।

error: Content is protected !!