জীবনের শেষ বেলায় বাড়ি ছেড়েছিলেন সুচিত্রা! কোথায় দিন কাটাত মহানায়িকার?

বাঙালির হৃদয়ে মহানায়িকা হিসেবে যিনি আজীবন থাকবেন তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন সুচিত্রা সেন ওরফে রমা। ছবির পর্দায় একাধিক চরিত্রে অভিনয় করে তিনি নজির স্থাপন করেছেন। তার অভিনয়, রূপ ও জৌলুশ যা বাঙালিকে বরাবর আকৃষ্ট করেছে। দর্শকদের কাছে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সুচিত্রা। পেশাদার জীবনে তিনি যতটা রঙিন ব্যক্তিত্বের ছিলেন ব্যক্তিগত জীবন ততটাই রঙহীন ছিল তার।

যদিও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে সেভাবে তাকে কথা বলতে দেখা যায়নি। সুচিত্রা মাত্র ১৫ বছর বয়সে শিল্পপতি আদিনাথ সেনের ছেলে দিবানাথ সেনকে বিয়ে করেন। যদিও সাংসারিক জীবন নিয়ে তাকে কখনও সুখকর কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। তবে বিয়ের প্রায় সাত বছর পর তিনি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সন্তান ও অভিনয়কে জড়িয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের বাকি সময়।

সুচিত্রার অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেওয়ার পর তাকে প্রকাশ্যে সেভাবে আসতে দেখা যায়নি। এই সিদ্ধান্ত তিনি নিজে নিয়েছিলেন। আর সেইসময় আরও একটি সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন বলে শোনা যায়৷ অভিনয় জগত থেকে সরে আসার পর স্থির করেন বাইরের জগতের সামনে আর তিনি আসবেন না। কারও সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখবেন না৷

যেমন ভাবা তেমন কাজ। তাকে আর কখনও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি৷ তবে সাতের দশকের দিকে একাধিক খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মহানায়িকাকে। স্বামীকে হারিয়ে ফেলেন তিনি। এর পাশাপাশি একাধিক ছবি ফ্লপ হতে শুরু করে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি একটি সিদ্ধান্ত নেন।

সেইসময় তিনি রামকৃষ্ণ মিশনে যুক্ত হয়েছিলেন। শোনা যায় একটা সময় শারীরিক কিছু কারণবশত তিনি সেখানে একটি ঘরও নিয়েছিলেন। নিজেকে সেই ঘরে সবসময় বন্দী করে রাখতেন। তবে এই বিষয়ে কোনোদিন তার পরিবারের তরফে কেউ মুখ খোলেননি৷ তাই গুঞ্জন শোনা গেলেও তা নিশ্চিত সত্য কিনা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।

আরও পড়ুন,
*‘উঠলো বাই তো শিবের ঠাঁই’, গাড়ি চালাতে চালাতে কোথায় চললেন মধুমিতা?