‘হঠাৎ একদিন ফোন এল ভিডিও করে পাঠাও’, মুহূর্তে পাল্টে যায় শ্রুতির জীবন

Shruti Das: কাটোয়ার মেয়ে হলেও তিনি এখন টলিউডের একজন পরিচিত মুখ। তিনি হলেন শ্রুতি দাস। টলিউডে ছোটো পর্দায় এখন তিনি বেশ জনপ্রিয়। কাটোয়া থেকে কলকাতায় এসে নিজের যোগ্যতায় আজ তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়েছেন৷ বর্তমানে তিনি এখন তার অঞ্চলের গর্ব। তার প্রথম অভিনীত ধারাবাহিক হলো ‘ত্রিনয়নী’। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

এরপর তাকে ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিক অভিনয় করতে দেখা যায়। এই ধারাবাহিকও হয়ে ওঠে জনপ্রিয়। অভিনয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত নাচতে পারেন শ্রুতি। তবে তার পিছু ছাড়ে না কটাক্ষ। তার গায়ের রং চাপা হওয়ায় অনেকেই নানান কটাক্ষ করেন। কিন্তু শ্রুতি সেসব চুপ করে শোনার পাত্রী নন৷ সঠিক জায়গায় যোগ্য জবাব দিতে একটুও দেরি হয় না তার।

প্রথমে অভিনয়ের জন্য অডিশন দেন তিনি৷ কিন্তু সেই অডিশন দেওয়ার পর বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। নিরাশ হয়েই ফিরে গিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন ফোন আসে এবং তাকে বলা হয় লাল শাড়ি পরে ভিডিও করে পাঠাতে। আর অভিনেত্রী সেটিই করেন এবং তিনি অভিনয়ে জন্য ডাক পান।

‘ত্রিনয়নী’ নামক ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। এই ধারাবাহিকটি ছিল তার প্রথম অভিনীত ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের পরিচালক হলেন স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। শ্যুটিং করতে করতে তাদের সম্পর্ক শুরু। জানা যায় প্রথম শ্রুতি স্বর্ণেন্দুকে ভালোলাগার কথা জানান৷ কিন্তু স্বর্ণেন্দুর কথায় সেটিই শুধু সাময়িক ভালোলাগা। তিনি মনে করেছিলেন শ্রুতির সেই ভালো লাগা ক’দিন পর কেটে যাবে।

এই কথা নিজেও বলেছিলেন শ্রুতিকে। কিন্তু অভিনেত্রী ছাড়বার পাত্রী নন। তিনি জানতেন তিনি পরিচালককে সত্যি করে ভালোবাসেন। আর সেটিই সত্যি হয়। বয়সে কি বা যায় আসে। মনের মিল বা প্রকৃত ভালোবাসা থাকলে সব সম্পর্ক সফল হওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন,
*‘নেতাজির অভাব বোধ করছি …’, নির্যাতিতাকে নিয়ে ‘আর কবে’ গান বানালেন অরিজিৎ