SIR আতঙ্কে আত্মহত্যার চেষ্টা! চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ, গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি কামারহাটির বাসিন্দা

রাজ্যের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া (SIR – Special Integrated Revision) ঘিরে দফায় দফায় আতঙ্কের খবর মিলছে। নথিপত্রের চাপ, অস্পষ্টতা, এবং যাচাইকরণ নিয়ে উদ্বেগের জেরে সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনিক কর্মী—অনেকেই প্রবল মানসিক চাপে ভুগছেন। তারই ভয়ানক প্রতিফলন ঘটল বুধবার রাতে।

পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই SIR সংক্রান্ত নথি ও নাম-ভুল নিয়ে তীব্র মানসিক উদ্বেগে ছিলেন কামারহাটি পুরসভার প্রফুল্লনগর লো ল্যান্ড এলাকার বাসিন্দা অশোক সরদার (৬৩)। বুধবার রাতে বেলঘরিয়া–দমদমের মধ্যবর্তী সিসিআর ব্রিজের কাছে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। উপস্থিত রেলযাত্রীরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি থাকা অশোকবাবুর শারীরিক পরিস্থিতি চিকিৎসকরা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন।

২০০২ সালের ভোটার তালিকা নিয়ে আতঙ্ক

পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, SIR চলাকালীন নথিপত্র যাচাই ও পুরোনো ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখার পর থেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন অশোক সরদার। তাঁরা জানান, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নিজে ও স্ত্রীর নাম ছিল না, অথচ একই তালিকায় বাবা, মা, দাদা, বৌদি সহ নিকটপরিজনের নাম দেখা যায়।

এই অমিল থেকেই তিনি চরম দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন। পরিবারের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে তিনি স্বাভাবিক ছিলেন না এবং এসআইআর প্রসঙ্গে বারবার ভেঙে পড়ছিলেন। সেই উত্তেজনা থেকেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

রাজ্যে আরও এক মৃত্যুর অভিযোগ—চাপে নুয়ে পড়ছেন বিএলওরা

এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও এক ভয়াবহ অভিযোগ সামনে এসেছে। মালবাজারের রাঙামাটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শান্তিমণি এক্কা নামের এক মহিলা বুথ লেভেল অফিসার (BLO)-কে বুধবার সকালে বাড়ির উঠোনে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পরিবারের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে SIR–এর কাজের অতিরিক্ত চাপ এবং লাগাতার অভিযোজন, রিপোর্টিং, ফিল্ড ভেরিফিকেশন—এই সব মিলিয়ে শান্তিমণিদেবীর উপর প্রবল মানসিক চাপ ছিল। সেই চাপই তাঁকে এমন পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ।

এসআইআর আতঙ্ক—সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনিক কর্মী দু’পক্ষেই ক্ষোভ

ভোটার তালিকার সঠিক যাচাই নিশ্চিত করার জন্য কমিশন SIR প্রক্রিয়া চালু করলেও বাস্তবে তা অনেকের মধ্যেই তৈরি করছে উদ্বেগ। অনেক প্রবীণ ও নথিপত্র–বিহীন মানুষের কাছে এই প্রক্রিয়া হয়ে উঠছে মানসিক চাপের কারণ। আবার, মাঠপর্যায়ের কর্মী—বিএলওদের অভিযোগ, কাজের চাপ অস্বাভাবিক, এবং তা সামলানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

আরও পড়ুন
SIR ফর্মে ভুল হলে কী করবেন? জানাল নির্বাচন কমিশন—ভোটারদের বিভ্রান্তি দূর করল গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা

অশোক সরদার ও শান্তিমণি এক্কার ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলছে—
এই অতিরিক্ত চাপ কীভাবে কমানো যাবে?
প্রবীণ ও নথিহীন মানুষদের জন্য কি পর্যাপ্ত কাউন্সেলিং বা সহায়তা আছে?
বিএলও কর্মীদের নিরাপত্তা ও মানসিক চাপের দিকে কি নজর দেওয়া হচ্ছে?

SIR ঘিরে রাজ্যে যে চাপ বাড়ছে, এই ধারাবাহিক ঘটনাগুলি তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রশাসন এই ঘটনায় কী সিদ্ধান্ত নেয়, এখন সেদিকেই নজর।

শুধু হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় না, জোয়ান খেলে শরীরের অনেক সমস্যা নিবারণ হয় মুখরোচক বাদাম চিক্কি খেতে দারুন, বাড়িতেই তৈরী হবে, জানুন রেসিপি এইভাবে তেজপাতা পোড়ালে দুশ্চিন্তা কেটে যাবে 5 Best Night Creams ৪ মাসের শিশু ২৪০ কোটির মালিক