সম্প্রতি আরজিকর হসপিটালের কর্মকাণ্ডের জন্য দেশ সহ দেশের বাইরেও উত্তাল অবস্থা। এই চরম অপরাধের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ সহ , বিভিন্ন তারকারা। সেরকমই অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ১৪ই আগস্ট কলকাতায় না থাকায়, যেখানে ছিলেন সেখানে বসেই শাঁখ বাজিয়েছিলেন। এটা নিয়ে অভিনেত্রীকে অনেক কটাক্ষের শিকার হতে হয়। একটি সংবাদ মাধ্যমের অভিনেত্রী জানান সেদিন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন কিন্তু দেশের বাইরে থাকলেও তার মন ছিল এখানেই। তিনি বলেন সেদিন এখানে উপস্থিত থাকতে না পারায় আমি বিদেশে থেকেই দূর থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।
অভিনেত্রী বলেন, আমি চাই বিচার হোক অভিযুক্ত কঠিনতম শাস্তি পাক। অভিনেত্রীর প্রতিবাদের মাধ্যমকে নিয়ে যেভাবে ট্রল করা হচ্ছে তা একেবারেই কাম্য নয়। ঋতুপর্ণা কে এই বিষয়ে প্রশ্ন করতে তিনি উত্তর দেন, এসব বিষয় নিয়ে তিনি একেবারেই মাথা ঘামাচ্ছে না। তিনি এও বলেন কাউকে
তিনি কোন জবাব দিতে চান না, অভিনেত্রী বলেন এই বিষয়টা মাথা থেকে একেবারেই বের করতে পারছি না আমাদেরও তো মেয়ে আছে। তার মেয়ে ঋষণাকেও তিনি কিছুদিন যাবত খুবই আগলে রাখছেন তাকে একেবারেই কাছছাড়া করছেন না।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবো বলে মুম্বাই থেকে কলকাতাতে ফিরেছি, এই প্রতিবাদ মিছিলে যোগদান করতে পারলে মনটা একটু শান্ত হতো। এতটা কষ্ট দিয়ে একটি নারীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে সেই নিকৃষ্ট লোক গুলো। একজন ডাক্তার হয়ে হসপিটালের মধ্যে থাকে এভাবে প্রাণ হারাতে হলো, তাহলে আমাদের সেফটি কে দেবে?
অভিনেত্রী বললেন দোষীদের এমন কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হোক যাতে কিনা তাদের দেওয়া শাস্তি দেখে অন্য পুরুষের এরূপ নিকৃষ্ট মানের কাজ করতে গেলে ১০০ বার ভাবে, এইরকম কঠিন শাস্তি দিলে সমাজে মেয়েরা একটু স্বস্তিতে থাকতে পারবে।
আরও পড়ুন,
*ধর্ষণ ‘মহাপাপ’, মুক্তি নেই মৃত্যুর পরেও, পুরাণে রয়েছে কঠিন শাস্তির বিধান