বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ছিল গোটা চলচ্চিত্র দুনিয়া। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলে আয়োজন করা হয় তাঁর স্মরণসভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের প্রথম সারির প্রায় সব তারকারাই। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন পরিচালক কর্ণ জোহর, যিনি ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুসংবাদ সবার আগে নিশ্চিত করেছিলেন এবং যাঁর সঙ্গে প্রয়াত অভিনেতার সুসম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের।
তবে স্মরণসভায় কর্ণের উপস্থিতিই বিতর্কের জন্ম দিল। অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় কর্ণ জোহরকে গাড়ির ভিতর ফোনে কথা বলতে বলতে হাসতে দেখা যায়। সেই কয়েক সেকেন্ডের দৃশ্যই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে এবং শুরু হয় কটাক্ষের ঢেউ।
নেটাগরিকদের একাংশের অভিযোগ— একজন বর্ষীয়ান অভিনেতার স্মরণসভায় এসে এমন আচরণ অনুচিত। কেউ লিখেছেন, “বিন্দুমাত্র দুঃখ নেই ওর মুখে”। আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “কর্ণ তো পুরো জোকার! কোথায় কীভাবে আচরণ করতে হয়, সেটা জানে না।” আরও তীব্র স্বরে কেউ কেউ তাঁকে বলেছেন, “একেবারে নির্লজ্জ লোক।”
কর্ণ জোহরের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ নতুন নয়। ‘বলিউড মাফিয়া’ বলেও তাঁকে আক্রমণ করা হয় প্রায়ই। ২০২৩ সালে তাঁরই পরিচালিত ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে ধর্মেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করিয়েছিলেন তিনি। তাই স্মরণসভায় তাঁর উপস্থিতি প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু নেটপাড়ার মতে, সেই উপলক্ষ্যে তাঁর আচরণ ‘অসম্মানজনক’।
আরও পড়ুন
ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর প্রভাব রাম চরণ ও জাহ্নবীর কাজের উপর! শোকে স্তব্ধ বলিউড
যদিও তীব্র সমালোচনার মুখে কর্ণ জোহর এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে সমাজমাধ্যমে তিনি সাধারণত খুব সক্রিয়। অতীতে ট্রোলিংয়ের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানোর ঘটনাও রয়েছে অনেক। এবারও তিনি কী প্রতিক্রিয়া দেন বা আদৌ কিছু বলেন কি না, সেদিকে নজর রাখছে বলিউড-পাড়া।
আরও পড়ুন
নিঃশব্দ বিদায়ে ধর্মেন্দ্র: দুই পরিবারের দূরত্বে প্রশ্ন, হেমার আলাদা প্রার্থনাসভা ঘিরে চর্চা
ধর্মেন্দ্রের স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে কর্ণ জোহরকে ঘিরে এই নতুন বিতর্ক বলিউডের আগুনে আরও ঘি ঢালল— এমনই মত অনেকের।
আরও পড়ুন
ছেলেমেয়েরা কি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত? এদেরকেই কোটি কোটি টাকা দিয়ে গেলোনা ধর্মেন্দ্র
